প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের সংশোধিত নীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ রাজ্যে ৫জি পরিষেবার পরিকাঠামো তৈরির (সেল-সহ টাওয়ার বসানো, অপটিক্যাল ফাইবার পাতা ইত্যাদি) সহায়ক পরিবেশ গড়ার খসড়া নীতি তৈরি করেছে রাজ্য। সব ঠিকঠাক চললে মাসখানেকেই তা চূড়ান্ত হবে, আশা প্রশাসনিক মহলের। এই অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতায় ৫জি চালুর আশা ভারতী এয়ারটেলের। সামনের মাসের মধ্যে গোটা শহরে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য রিলায়্যান্স জিয়ো-রও। এখন বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জায়গায় তা দিচ্ছে তারা।
বিভিন্ন ভবন বা সম্পত্তি ব্যবহার করে টেলি পরিষেবার পরিকাঠামো গড়তে তার সায় (আরওডব্লিউ) নিতে হয় শিল্পকে। তার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে রাজ্যগুলি পরে নিজেদের নীতি আনে। এখন কিছু জায়গায় ৫জি চালু হলেও তার প্রসারে দ্রুত বিপুল পরিকাঠামো তৈরি জরুরি। তাই কেন্দ্র অগস্টে চালু আরওডব্লিউ নীতি সংশোধন করেছে। এ বার পালা রাজ্যগুলির।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের খসড়া নীতিতে নীতিগত সায় দিয়েছে রাজ্য। বিষয়টি অর্থ ও আইন দফতর খতিয়ে দেখার পরে রাজ্য মন্ত্রিসভা সায় দিলে তৈরি হবে সংশোধিত নীতি। মাসখানেকের মধ্যে তা চূড়ান্ত হওয়ার আশা তথ্যপ্রযুক্তি দফতর ও টেলি-শিল্প মহলের।
৫জি নিয়ে সোমবার টেলিকম দফতর (ডট) ও রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের কর্মশালার ফাঁকে ডটের (ব্রডব্যান্ড মিশন) ডিডিজি নীরজ কুমার বলেন, ‘‘৫জি-র জন্য ২০০-৩০০ মিটারের মধ্যে ছোট ‘সেল’ ভিত্তিক পরিকাঠামো জরুরি। সে ক্ষেত্রে রাস্তার নানা কাঠামো (বিদ্যুতের খুঁটি, বাতিস্তম্ভ ইত্যাদি) বা বিভিন্ন ভবনে তা তৈরির সম্ভাব্য জায়গা চিহ্নিত ও জিআইএস ম্যাপিং করা, তা ব্যবহারের চার্জ সংক্রান্ত আরওডব্লিউ নীতি রূপায়ণ জরুরি। কেন্দ্রের নীতি সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে রাজ্যগুলিকে আর্জি জানিয়েছি।’’ তিনি জানান, জিয়ো শহরে ৪০০০-এর বেশি সাইট চালু করেছে।
এয়ারটেলের প্রতিনিধি জানান, শিলিগুড়ির পরে ডিসেম্বরে কলকাতায় ৫জি চালুর আশা। মার্চের মধ্যে দুর্গাপুর, আসানসোল, হলদিয়া-সহ ৮ শহরে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫০টি শহরে ও ২০২৪-এর মার্চের মধ্যে গোটা রাজ্যে মিলবে তা। কলকাতায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ৫জি চালু করেছে জিয়ো। সূত্রের খবর, বছর শেষের আগেই শহর জুড়ে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।