Prawn

চিংড়ি রফতানিতে ধাক্কায় চাপে রাজ্যও

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, অতিমারির ফলে আমেরিকা এবং ইউরোপে চিংড়ি ও মাছের আমদানি কমেছে।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৫:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

চাহিদা তো কমেছেই, মিলছে না ঠিকঠাক দামও। বিশ্ব জুড়ে লকডাউনে চিংড়ি, কাঁকড়া এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ রফতানির এখন টালমাটাল অবস্থা। একই রকম চাপে পশ্চিমবঙ্গও।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, অতিমারির ফলে আমেরিকা এবং ইউরোপে চিংড়ি ও মাছের আমদানি কমেছে। সমস্যা রয়েছে দাম নিয়েও। আর সেই চাপ আরও বাড়িয়েছে আমদানি নিয়ে চিনের হরেক বায়নাক্কা। পরিস্থিতি যা তাতে দেশের সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য রফতানিকারী সংস্থাগুলির আশঙ্কা, চলতি অর্থবর্ষে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতের রফতানি ২০-৩০% কমবেই। সব কিছু মিলিয়ে রফতানি সংস্থাগুলির পাশাপাশি বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন সারা দেশের চিংড়ি চাষিরাও। যার ‘আঁচ’ ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশের চিংড়ি চাষিদের উপরে।

রফতানি সংস্থাগুলি সূত্রের খবর, আমেরিকা ও ইউরোপে চাহিদা এবং দাম নিয়ে সমস্যা তো রয়েছেই। তার উপর চিনের আমদানিকারীরা নানান অভিযোগে পণ্য নিচ্ছে না। সে দেশের শুল্ক বিভাগের বিভিন্ন পদক্ষেপের জেরে চিনের বাজারে ভারতের চিংড়ি রফতানি কার্যত বন্ধ। অনেক ক্ষেত্রে চিনের আমদানিকারীরা বরাত দিয়েও পরে তা বাতিল করে দিচ্ছে। যার ফলে বিপদে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন রফতানি সংস্থা।

Advertisement

এক নজরে

• চিংড়ি, কাঁকড়া, সামুদ্রিক ভোলা-সহ বিভিন্ন মাছ রফতানি করে ভারত।

• যায় আমেরিকা, চিন, জাপান, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়ায়।

• গত বছর ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি হয়েছিল।

• এই ক্ষেত্রে রাজ্যের মোট রফতানির ৯৫% চিংড়ি।

• বেশি যায় ভ্যানামেই ও বাগদা। বছরে ৮০০০-১০,০০০ হাজার কোটি টাকার রফতানি হয়।

সামুদ্রিক পণ্য রফতানি মহলের বক্তব্য, এ বছর প্রথম ছ’মাসে ভারত থেকে চিংড়ি রফতানি গত বছরের তুলনায় ৯% কমেছে। চিনে রফতানি কমেছে ২৫-৩০%। গত বছরের তুলনায় আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি কমেছে যথাক্রমে ১০% ও ৯%। সি ফুড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার বক্তব্য, অন্য সময়ে যেখানে এক কিলোগ্রাম চিংড়ি রফতানি ১০ ডলার দাম পাওয়া যেত, তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭-৭.৫ ডলার। চাহিদা না-থাকায় আমদানিকারীরাও দাম বাড়াতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই লোকসান গুনতে হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাহিদা তো নেই-ই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম মিলছে না বলে দেশের চিংড়ি চাষিরাও অনেক ক্ষেত্রে সঠিক দাম পাচ্ছেন না। ফলে এই শিল্প ক্ষেত্রে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে। শিল্পের বক্তব্য, বিশ্বের যা পরিস্থিতি তাতে এই মুহূর্তে রফতানির বিকল্প বাজার খুঁজেও তেমন লাভ নেই।

রাজর্ষিবাবু অবশ্য বক্তব্য, তাঁরা এখন বড়দিন এবং ইংরেজি নতুন বছরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বাজার ঘুরতে পারে অক্টোবরের পর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement