ফাইল চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প থেকে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ডাক বিভাগ বেঁধে দিয়েছিল, প্রথম ছ’মাসেই (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) তার ৯০% পূরণ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর নিয়ে সার্কলটি গঠিত। সার্কলের শীর্ষ-কর্তাদের বক্তব্য, করোনার মধ্যে অর্থ মন্ত্রকের সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে জোর দিয়েছিলেন ডাকঘরের কর্মী-আধিকারিকেরা। তাই সাফল্য এসেছে। আশা, অর্থবর্ষের বাকি সময়ে আয় আরও বাড়বে।
স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির জন্য অর্থ মন্ত্রক ডাক বিভাগকে অ্যাকাউন্ট প্রতি কমিশন দেয়। সেটাই তাদের আয় বা ব্যবসা। নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে যেমন কমিশন মেলে, তেমনই পুরনো অ্যাকাউন্ট চালু থাকলেও কমিশন মেলে প্রতি বছর। ডাক বিভাগের নানা পরিষেবায় দক্ষতার স্বীকৃতি দেওয়ার অনুষ্ঠানের ফাঁকে মঙ্গলবার সার্কলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল জে চারুকেশী জানান, চলতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলকে ৬২৪ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ছ’মাসেই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের জন্য ৫৬১.০৩ কোটি আয় হয়েছে। তাঁর দাবি, এই ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই এই সাফল্য। যদিও গ্রাহকেরা ওই সব প্রকল্পে কত টাকা রেখেছেন, তা এ দিন জানা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে আমজনতার অনেকেই সাধ্য মতো সঞ্চয় প্রকল্পে জোর দিচ্ছেন। তাতে পুরনো অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রবণতা যেমন কমছে, তেমন নতুন খুলেছেন অনেকে। ডাক বিভাগের শীর্ষ-কর্তারা জানান, গত অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে বিভিন্ন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে ১২.৩৫ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এ বার তা ১৫.৮৬ লক্ষ।