তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে লন্ডনের আদালতে মামলা চালাচ্ছে ভারত। তাতে সামিল ঋণদাতারাও। সেই ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধেই শুক্রবার ফের এক দফা আক্রমণ শানালেন বিজয় মাল্য। টুইটে দাবি করলেন, তিনি ঋণ ফেরতের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তা মানেনি ঋণদাতারা। উল্টে বিদেশের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালাচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। যাতে খরচ হচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের করের টাকা। যদিও অনেকে বলছেন, মাল্য নিজে বিদেশে চলে না গেলে তাঁকে ফেরানোর চেষ্টাও করতে হত না। এত টাকাও খরচ করতে হত না ব্যাঙ্কগুলিকে।
ইতিমধ্যেই লন্ডনে মাল্যের ২.৬০ লক্ষ পাউন্ড জমা থাকা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। যা ফের চালুর জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন কিংফিশার কর্তা। সেই আবেদন চলতি সপ্তাহেই খারিজ হয়েছে। তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এই তোপ দাগলেন তিনি। মাল্যের দাবি, সংবাদমাধ্যম কেন তথ্যের অধিকার আইনে স্টেট ব্যাঙ্কের কাছ থেকে খরচের হিসেব জানতে চাইছে না!
প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপের অভিযোগ রয়েছে মাল্যের বিরুদ্ধে। দেওয়া হয়েছে পলাতক আর্থিক অপরাধী তকমা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। মাল্যের দাবি, ব্রিটেনে তাঁর বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি অর্ধেক দামে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি সম্পত্তি বিক্রি করেও আইনি খরচ উঠবে না।
অনেকের বক্তব্য, মাল্য করের টাকা খরচের অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, ব্যাঙ্কের যে ঋণ বাকি রেখে তিনি লন্ডনে পালিয়েছেন, সেটাও মানুষেরই টাকা।