প্রতীকী ছবি।
আগ্রহ রয়েছে। অথচ লগ্নি করার মতো অর্থ নেই। তাই দেশে ৫জি প্রযুক্তির টেলি পরিষেবা চালুর আগে কেন্দ্রের সাহায্য দাবি করল টেলি শিল্প মহল।
বিশ্ব জুড়েই এখন সবচেয়ে উন্নত টেলি পরিষেবা প্রযুক্তি হল ফোরজি। কিন্তু আগামী কয়েক বছরে আরও উন্নত ৫জি প্রযুক্তি চালুর জন্য এখন থেকেই কোমর বাঁধছে বিভিন্ন দেশ। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও যাতে একই সময়ে ৫জি চালু করা যায়, সে জন্য সব পক্ষকে নিয়ে ‘ফোরাম’ গড়েছে টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআই। জুনের মধ্যে রোডম্যাপ তৈরির কথা জানিয়েছে কেন্দ্রও।
এই পরিস্থিতিতে সিএওআইয়ের ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ জানাচ্ছেন, বেহাল আর্থিক অবস্থাই এখন টেলি শিল্পের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। ব্যবসা টিকবে কি না, প্রশ্ন আছে তা নিয়েও। ৫জি চালুর আগে সংশয়ী শিল্প মহল তাই আর্থিক বোঝা কমাতে কেন্দ্রের আরও সহায়তা চাইছে। তাদের দাবি, স্পেকট্রামের টাকা শোধের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৬ বছর করায় সুরাহা হলেও, তা যথেষ্ট নয়। তাই লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের খরচ কমানো, আয়ের উপরে করের সংজ্ঞা ঠিক করা-সহ নানা সহায়তা চায় শিল্প। আশঙ্কা, তা না পেলে ধাক্কা খেতে পারে ৫জি প্রযুক্তির জন্য প্রাথমিক লগ্নিই।
৫জি কি? • পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল পরিষেবা • গতি ৪জি-র বহু গুণ। একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ‘এইচডি’ সিনেমা ৪জিতে ডাউনলোড করতে ৭ মিনিট মতো লাগে। ৫জি-তে তা ৪০ সেকেন্ড • আপৎকালীন চিকিৎসার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপযোগী খটকা • টেলি শিল্পে ঋণের বোঝা ৪.৬ লক্ষ কোটিরও বেশি • ২-৩ বছরে লগ্নি চাই ৩ লক্ষ কোটি টাকা • এখন কঠিন ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া শিল্পের দাবি • আর্থিক বোঝা লাঘবে সাহায্য করুক কেন্দ্র • কমানো হোক লাইসেন্স ফি • আয়ের ভিত্তিতে দেওয়া করের সংজ্ঞা স্থির করা • স্পেকট্রাম ব্যবহারের মাসুল ১ শতাংশে নামানো
ভারতে ২জি, ৩জি, ৪জি পরিষেবা নিয়ে এখনও গ্রাহকদের অভিযোগ বিস্তর। স্পেকট্রাম, লাইসেন্স ইত্যাদি খাতে টেলি শিল্পের ঘাড়ে চেপে বিপুল ঋণ। তার উপর মাসুল যুদ্ধে টিকে থাকতে গিয়ে কমছে গ্রাহক পিছু আয়। টান মুনাফায়। ফলে পরিকাঠামোয় লগ্নি করতে হোঁচট খাচ্ছে সংস্থাগুলি। ঠিক সেই সময়েই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৫জি প্রযুক্তির চালুর সম্ভাবনা কতটা, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
সূত্রের খবর, টেলি নীতিতে ৫জি নিয়ে কেন্দ্রের ভাবনার উল্লেখ থাকতে পারে। সিএওআইয়ের আশা, সেখানেই শিল্পের সহায়ক পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। এখন তাই সে দিকেই তাকিয়ে তারা।