—প্রতীকী ছবি।
গত মাসে পাইকারি বাজারে সার্বিক যাত্রী যানের (ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস, ট্রাক-সহ যাত্রী বহনকারী সব গাড়ি বা প্যাসেঞ্জার ভেহিক্ল) বিক্রি বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ১.৩%। অর্থাৎ নির্মাতাদের থেকে সেগুলি এই হারে বেশি কিনেছে বিক্রেতা (ডিলার) সংস্থা। কেনার মোট সংখ্যা ৩,৩৫,৬২৯। তবে শুধু যাত্রিবাহী গাড়ির (প্যাসেঞ্জার কার) বিক্রি ২৩% কমে হয়েছে ৯৬,৩৫৭। গত বছর বিকিয়েছিল ১,২৫,৭৫৮টি।
যদিও মঙ্গলবার গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম এপ্রিলে পাইকারি বিক্রির হিসাব জানানোর পরে সব মিলিয়ে কিছুটা স্বস্তিরই হাওয়া সংশ্লিষ্ট মহলে। কারণ, একমাত্র যাত্রিবাহী গাড়ি বাদে বাকি সব বিকিয়েছে বেশি। তবে একাংশের মতে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দামি ইউটিলিটি ভেহিক্লের ২১% বিক্রি বৃদ্ধিই দেশে বিক্রেতাদের বিপণিতে সার্বিক যাত্রী যানের বেশি সংখ্যায় ঠাঁই পাওয়ার মূল কারণ, ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার ঝোঁক নয়।
সিয়ামের বার্তা, এপ্রিল উৎসবের মাস। এই সময় বিক্রিবাটা বাড়ে। তার প্রতিফলন ঘটেছে গাড়ি বাজারেও। ৩১% বেড়েছে দু’চাকার পাইকারি বিক্রি। তিন চাকার বৃদ্ধি ১৪.৫%। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বিনোদ আগরওয়ালের দাবি, চলতি অর্থবর্ষের শুরুটা ভাল হয়েছে। ক্রেতারা আগ্রহী হচ্ছেন। পূর্বাভাস মিলিয়ে এ বার স্বাভাবিকের থেকে বেশি বর্ষা হলে, নির্বাচনের পরে সরকারি নীতিগুলি বহাল থাকলে এবং তারা কারখানায় উৎপাদন ও পরিকাঠামোয় জোর দিলে অর্থনীতির সার্বিক বৃদ্ধি গাড়ি ক্ষেত্রকে অগ্রগতি বহাল রাখতে সাহায্য করবে।