২০২৪ সালের শেষ দিনেও টাকা পড়ল। —প্রতীকী চিত্র।
এ খাদের তল কোথায়? উত্তর নেই ভারতীয় মুদ্রার কাছে!
আশঙ্কা হচ্ছিল ৮৫-র কোঠা নিয়ে। কিন্তু সেই বাঁধও ভেঙে যাওয়ায় টাকার দাম শেষ পর্যন্ত কোন তলানিতে ঠেকবে, তা নিয়ে মুদ্রার বাজারে নতুন করে শুরু হয়েছে উদ্বেগ। মঙ্গলবার ২০২৪ সালের শেষ দিনেও টাকা পড়ল। তৈরি হল নতুন নজির। ১ ডলারের দাম ১২ পয়সা বেড়ে প্রথম বার হল ৮৫.৬৪ টাকা। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ প্রত্যাশার তুলনায় রক্ষণশীল পদক্ষেপ করায় এবং ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন মাপকাঠিতে শ্লথতার লক্ষণ স্পষ্ট হওয়ায় নতুন বছরেও টাকা দুর্বল থাকবে। এ দিন সেনসেক্স কিছুটা পড়লেও সারা বছরে নিট হিসাবে সূচক ৮ শতাংশেরও বেশি উঠেছে।
২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডলারের দাম ছিল ৮৩.১৬ টাকা। ২০২৪ সালের শেষ লেনদেনের দিনে তা ৮৫.৬৪ টাকায় পৌঁছল। সারা বছরে আমেরিকার মুদ্রার দাম বেড়েছে ২৪৮ পয়সা। অর্থাৎ, টাকা প্রায় ৩% পড়েছে। পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের বক্তব্য, ‘‘বিদেশি পুঁজি প্রত্যাহার, ঘাটতি বৃদ্ধি, বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার কমা, আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার পাশাপাশি, বাজারের আবেগও এখন টাকার পতনের পিছনে কাজ করছে। ডলার ৮৫ টাকা পার করার পর থেকে সেটাই দুই মুদ্রার নতুন মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করছে, টাকা নিজের শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না। নতুন বছরে তা না হলে হয়তো তাদের হস্তক্ষেপ করতেই হবে।’’
অন্য দিকে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সেনসেক্স প্রথম বার ৮৫,৯৭৮.২৫ এবং নিফ্টি ২৬,২৭৭.৩৫ অঙ্কে পৌঁছেছিল। তার পর থেকে দুই সূচক অনেকটা পড়লেও গোটা বছরের নিট হিসাবে যথাক্রমে ৮.১৬% এবং ৮.৮০% উঠেছে। বিএসই-তে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার মূল্য ৭৭.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪,৪১,৯৫,১০৬.৪৪ টাকা।