—প্রতীকী ছবি।
একটা সময়ে আমদানিকৃত মোট অশোধিত তেলের ১ শতাংশেরও কম রাশিয়ার থেকে কিনত ভারত। সেই রাশিয়াই এখন ভারতের বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী। আজ আমেরিকার আর্থিক নীতি সংক্রান্ত সহ-সচিব এরিক ফান নসট্রান্ড দাবি করলেন, ভারতকে কখনওই রুশ তেলের আমদানি কমাতে বলেননি তাঁরা। ওই তেলের দামের ঊর্ধ্বসীমা তাঁরা বেঁধে দিয়েছেন বটে, কিন্তু বিশ্ব বাজারে সেটির সরবরাহ বন্ধ করাও তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। আসলে তেলের সরবরাহ মসৃণ থাকার পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যাতে তার মুনাফা থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তহবিল গড়ে তুলতে না পারেন, তা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। সেই কৌশল অনেকটাই সফল হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে মস্কোর উপরে একাধিক অবরোধ চাপিয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমের দেশগুলি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জি৭ গোষ্ঠী রুশ তেলের দামের ঊর্ধ্বসীমা ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারে বেঁধে দেয়। আর সেই নিচু দামের সুযোগে ভারত রুশ তেলের আমদানি ক্রমাগত বাড়িয়েছে। যদিও এ দেশের সংস্থাগুলি কত দামে সেই পণ্য কিনছে, সে ব্যাপারে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। আর সস্তা তেলের সুবিধা পৌঁছয়নি দেশের সাধারণ মানুষের কাছেও।
নসট্রান্ড এখন ভারতে। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর বক্তব্য, ইউরোপ এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে সস্তায় এবং মসৃণ ভাবে তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করাই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল। রুশ তেলের উপরে তাঁরা কখনওই নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চাননি। তা করলে বরং বিশ্ব বাজারে তেলের দাম উল্টে বেড়ে যেত। রুশ তেলের দামে ঊর্ধ্বসীমা বসায় সেই সম্ভাবনা ঠেকানো গিয়েছে।