ফাইল চিত্র।
দূষণ হ্রাসের পাশাপাশি জ্বালানির আমদানি খরচ কমানোও যে কেন্দ্রের কাছে সমান জরুরি, তা ফের স্পষ্ট হল সম্প্রতি বণিকসভা সিআইআইয়ের সভায়। সেখানে কেন্দ্রীয় আমলারা দেশে বিকল্প জ্বালানির উৎপাদন ও তার ব্যবহার বাড়াতে সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি ফের বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের উপরে জোর দিলেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অশোধিত তেলের বাড়তে থাকা দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকারও। এর জেরে দেশে জ্বালানির দাম আরও চড়লে যে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়বে সন্দেহ নেই। ফের তোপ দাগা হবে কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্কের চড়া হার নিয়ে। যে কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ির সওয়াল সরকারি মহলের তরফে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তবে সেগুলির বেশি দাম এবং চার্জিং স্টেশনের মতো পরিকাঠামোর অভাবের কথাও মনে করাচ্ছে তারা।
সিআইআইয়ের ওই সভায় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের সচিব গিরিধর আরামানে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে জোর দিয়ে বলেন, এই গাড়ি চালানোর খরচ পেট্রল-ডিজ়েল গাড়ির থেকে অনেক কম। তবে সহায়ক পরিবেশ-পরিকাঠামোর অভাব ও বাড়তি দাম যে বৈদ্যুতিক গাড়ির পথে বিরাট বাধা, সে কথা বার বারই বলে গাড়ি শিল্প-সহ সংশ্লিষ্ট মহল। গিরিধর অবশ্য আমেরিকার বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থা টেসলার উদাহরণ টেনে এবং কেন্দ্রের নানা পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, ভাবনা ঠিক থাকলে ওই যুক্তি টিকবে না। তাঁর দাবি, ক’বছরের মধ্যে দেশের ১.২০ লক্ষ কিমি জাতীয় সড়কের ধারে চার্জিং স্টেশন তৈরি হবে।