খরচ কমিয়ে ব্যাঙ্ক চাঙ্গা করার জন্য মউ সইয়ে রাজি ইউনিয়নগুলি। তবে তার আগে গোটা পরিকল্পনাটি খতিয়ে দেখবে তারা। শুক্রবার কলকাতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্মী সংগঠন, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের (এআইবিইএ) বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হল সর্বসম্মতিক্রমে।
ব্যাঙ্ক শিল্পের আর এক সংগঠন, ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (বেফি) সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরাও চুক্তির বিরোধী নই। তবে আগামী ২৬, ২৭ তারিখ আগরতলায় ইউনিয়নের জেনারেল কাউন্সিলের বৈঠকে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’’
উল্লেখ্য, তুলনায় দুর্বল ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক-কে চাঙ্গা করতে ৮,৫৮৬ কোটি টাকা মূলধন জোগানোর কথা বলেছে কেন্দ্র। তবে তার আগে ব্যাঙ্কগুলির কর্তৃপক্ষ এবং ইউনিয়নের থেকে এ ব্যাপারে লিখিত কিছু প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চায় তারা। এর মধ্যে আছে লোকসানে চলা শাখা গোটানো, কর্মী-অফিসারদের সুযোগ-সুবিধা ছাঁটাইয়ের মতো শর্তও। সে জন্য ব্যাঙ্ক এবং ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। যার খসড়া তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে এসবিআই ক্যাপিটাল। ব্যাঙ্কগুলিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর পরিকল্পনাও তারাই তৈরি করবে।
যে সব ব্যাঙ্কে পুঁজি ঢালার কথা, সেগুলির ইউনিয়ন নেতাদের নিয়েই এ দিন কলকাতায় বৈঠকে বসে এআইবিইএ। সেখানে ঠিক হয় চুক্তির আগে প্রতিটি ব্যাঙ্ক-কে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন তাঁরা। তারপর নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
বস্তুত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বাঁচাতে সব রকম সহযোগিতা করতে যে তাঁরা প্রস্তুত, সে কথা আগেই জানান এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর। এ দিন হল তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। পরে রাজেনবাবু বলেন, অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ার দরুন লোকসানে জেরবার হয়েই দুর্বল হয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। বকেয়া আদায়ের জন্য বহু দিন ধরে বিভিন্ন প্রস্তাব কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে ইউনিয়ন। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাঙ্ক চাঙ্গা করার পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে কর্তৃপক্ষ ও ইউনিয়নগুলিকে। আজ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক দুর্বলতা কাটাতে আমরা সব রকম সাহায্যের জন্য তৈরি। কিন্তু আগে পরিকল্পনা খুঁটিয়ে দেখব। তার পর মউ সই নিয়ে মতামত জানাব।’’