—ফাইল চিত্র।
নোট বাতিল ও তার পরে তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর ধাক্কায় ধরাশায়ী হয়েছিল দেশের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প। তার রেশ এখনও কাটেনি বলে অভিযোগ শিল্পের বড় অংশের। এই অবস্থায় বাজেটে সুরাহা মেলে কি না, সে দিকেই তাকিয়ে ছিল তারা। শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দ্বিতীয় বাজেটে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা মিলেছে বলে মত ছোট শিল্পের সংগঠন ফিসমে, ফ্যাকসি ও ফসমির।
এ দিন এই শিল্পের জন্য নিয়মের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিলের পাশাপাশি ব্যবসার জন্য ঋণের পথ সহজ করার প্রস্তাব রেখেছেন নির্মলা। যেমন, ছোট সংস্থার বার্ষিক ব্যবসা ১ কোটি টাকার বেশি হলে অডিট করাতে হয়। তা ৫ কোটি করার কথা বলেছেন তিনি। শর্ত, ব্যবসার ৫ শতাংশের বেশি নগদে লেনদেন করা যাবে না। প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েও ফিসমের প্রেসিডেন্ট অনিল সাক্সেনার বক্তব্য, শর্তের কারণ অনেকে সেই সুবিধা নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।
আবার পণ্য বিক্রির পরে পাওনা আটকে থাকলে সেই বিলের (ইনভয়েস) ভিত্তিতে ব্যবসা চালাতে কার্যকরী মূলধন হিসেবে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয় ছোট সংস্থাগুলি। বাজেটে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) থেকেও সেই সুবিধা পাওয়ার পথ খুলেছেন নির্মলা। এই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট ফ্যাকসির সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র সেনাপতি ও ফসমির প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য।
অনেক সময়ে কার্যকরী মূলধনের জন্য ঋণ ও মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি ব্যবসা চালাতে আরও ঋণ লাগে ছোট শিল্পের। সেই ধারকে বন্ধকহীন ঋণ প্রকল্পের (ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্ট ফর মিডিয়াম অ্যান্ড স্মল এন্টারপ্রাইজ়েস) মধ্যে আনার কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এতে ব্যাঙ্কগুলি ওই ঋণ দিতে উৎসাহ পাবে ও সংস্থাকেও বন্ধক দিতে হবে না।
রফতানি ক্ষেত্রে ছোট শিল্পকে সুবিধা দিতে ‘নির্ভীক’ প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। তাতে কম প্রিমিয়ামে বেশি বিমার সুযোগ মিলবে। বিমার টাকা পাওয়ার দাবিও সহজে মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ দিনের বাজেটের ভাবনায় মোটের উপর খুশি হলেও, এই শিল্পের একাংশের দাবি, আশা ছিল আরও কিছু সুবিধা মিলবে। সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তারা।