প্রতীকী ছবি
কাজের বাজারের ছবিটা উদ্বেগজনক রইল জুনেও। আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে সারা দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৭.৮০%। মে মাসে ছিল ৭.১২%। যার কারণ মূলত গ্রামাঞ্চলে কাজ না থাকা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি। পরিসংখ্যান বলছে, জুনে সেখানে বেকারত্ব ৮% ছাড়িয়েছে, যেখানে তার আগের মাসে ছিল ৬.৬২%। তবে সামান্য কমেছে শহুরে বেকারত্ব। মে-র ৮.২১% থেকে নেমে তা ৭.৩০%। এপ্রিলে পেরিয়েছিল ৯%। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জুনেই সব থেকে কম শহুরে বেকারত্বের হার।
মোদী সরকারের দাবি, মূল্যবৃদ্ধির হার চড়লেও ভারতে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে বেকারত্ব কমছে না কেন? এ দিন বিরোধীরা অর্থনীতি নিয়ে ফের দুষেছে কেন্দ্রকে। তাদের ক্ষোভ, জিনিসপত্রের দাম মাত্রাছাড়া, টাকার দাম তলিয়ে যাচ্ছে, চড়া বেকারত্ব। দেশকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
সিএমআইই-র পরিসংখ্যান বলছে, জুনে ১.৩০ কোটি কাজ খোয়া গিয়েছে দেশে। বিশেষত কৃষি ক্ষেত্রে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বেশি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সংস্থাটির এমডি মহেশ ব্যাস বলেছেন, দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির কারণ মূলত গ্রামাঞ্চল এবং মরসুম। তাঁর মতে, আলোচ্য সময়টা এমন এক মরসুম যখন কৃষির কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়ে। ফলে অনেকেরই কাজ থাকে না। যে কারণে গাঁ-গঞ্জে বেকারত্ব এত চড়া। জুলাইয়ে যখন ফসলের বীজ বপন শুরু হবে, তখন ছবিটা বদলাতে পারে।
ব্যাসের দাবি, গত মাসে বেকার হয়েছেন ৩০ লক্ষ। বাকিরা কাজের বাজার ছেড়েই চলে গিয়েছেন। তাই কাজ খুঁজতে নামা মানুষের সংখ্যা (লেবার ফোর্স) ১ কোটি কমেছে। তাঁর মতে, জুনে কাজ হারিয়েছেন ২৫ লক্ষ চাকরিজীবী। এই অংশের নড়বড়ে অবস্থা যথেষ্ট অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। তবে কর্মহীনতা বেশি অসংগঠিত ক্ষেত্রে। হতে পারে, অর্থনীতির সঙ্কটের জন্য নয়, কাজ খুঁজতে বড় অংশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়াই এর কারণ। তবে বর্ষার অভিঘাতে একসঙ্গে এত কর্মীর সমস্যায় পড়া উদ্বেগজনক।