প্রতীকী ছবি।
গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশের শহরাঞ্চলে ১৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৮%। মঙ্গলবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনএসও) প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই হার ২০২০ সালের একই সময়ের (১৩.২%) তুলনায় অনেকটা কম হলেও এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে লকডাউনের ফলে ওই হার এতটা উঁচুতে ছিল। আর ২০২১ সালের এপ্রিল-জুনে তা ছিল ১২.৬%। পাশাপাশি, সেই বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে শহরে মহিলাদের বেকারত্বের হারও ১৫.৮% থেকে কমে ১১.৬% হয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ১২.৬% থেকে কমে ৯.৩%। ১৫ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকদের মধ্যে আর্থিক কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের মধ্যে যাঁরা কাজ পাননি তাঁদেরই কর্মহীন ধরে নিয়ে দেশে বেকারত্বের হার নির্ধারণ হয়। সেই নিরিখে কাজের বাজারে যোগদানের হার ওই সময়ে ছিল ৪৬.৯%।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এনএসও-র ফাঁস হওয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সারা দেশে বেকারত্বের হার ৬.১% ছুঁয়েছিল। যা সেই সময়েই ছিল চার দশকের সর্বোচ্চ। তখন রিপোর্টের সত্যতা অস্বীকার করলেও বিপুল ভোটে জিতে আসার পরে তা স্বীকার করে নেয় মোদী সরকার। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, সিএমআইই-র মতো উপদেষ্টা সংস্থা হোক কিংবা হোক এনএসও, সবার রিপোর্টেই সেই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বেকারত্বের হারের কথা বলা হচ্ছে।