—প্রতীকী চিত্র।
একটিই সংযুক্ত (কম্পোজিট) প্রকল্প। তার মধ্যেই জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমা ও গৃহ বিমার সুবিধা। দেশে এমন প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিলেন বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইআরডিএ। আগামী ৮-৯ মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রকের প্রস্তাবিত সেই ‘বিমা বিস্তার’ প্রকল্প রূপায়িত হবে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এ কথা জানালেন আদিত্য বিড়লা হেল্থ ইনশিয়োরেন্সের সিইও ময়াঙ্ক বাথওয়াল।
বিমা পরিষেবার প্রসারের জন্য কম খরচে ‘বিমা বিস্তার’ প্রকল্প তৈরি ও বিপণনের জন্য প্রতি রাজ্যে তিনটি করে বিমা সংস্থাকে যৌথ ভাবে দায়িত্ব দিয়েছে আইআরডিএ। সেগুলির মধ্যে একটি করে জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমা ও সাধারণ বিমা সংস্থা রয়েছে। সেই মতো সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের মধ্যে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এ দিন কলকাতায় নিজের সংস্থার নতুন স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে ময়াঙ্ক জানিয়েছেন, অসমে ভারতীয় জীবন বিমা নিগম (এলআইসি) ও অ্যাকো জেনারেল ইনশিয়োরেন্সের সঙ্গে তাঁরা ওই দায়িত্ব পেয়েছেন। সংস্থাগুলি গ্রাহকদের জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমা এবং বাড়ি-সহ সাধারণ বিমার দাবি মেটাবে। প্রিমিয়াম ভাগ হবে তিন সংস্থার মধ্যে।
দেশের সমস্ত মানুষকে বিমার আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই জোর দিচ্ছে নিয়ন্ত্রক। ময়াঙ্ক জানান, অতিমারির পরে বিমা প্রকল্পের বিক্রির হার বেড়ে হয়েছে বছরে ২৩%। আগে ছিল ১৬%-১৭%। পাশাপাশি, ‘বিমা বাহক’ নামেও একটি প্রকল্প চালু হতে চলেছে। যাতে ‘ব্যাঙ্ক মিত্র’-র মতো প্রতিনিধি নিয়োগ করতে পারবে সংস্থাগুলি।
এক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে ময়াঙ্কের দাবি, গত চার বছরে বিমা পিছু গড় দাবির (ক্লেম) ক্ষেত্রে বিমা শিল্পের খরচ ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ৪৫,০০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫,০০০ টাকা।