সেপ্টেম্বরে মূল্যবৃদ্ধি ছিল ১০.৭%। প্রতীকী ছবি।
পিছু ছাড়ছে না বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা। বিশেষত আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে ইউরোপীয় অঞ্চলকে ঘিরে। এই মহাদেশ মন্দার মুখে পড়তে পারে বলে বুধবার ফের জানিয়েছে সেখানকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আর এ দিনই ব্রিটেন বলেছে, অক্টোবরে মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে ১১.১ শতাংশে। যা ৪১ বছরে সর্বোচ্চ। সেপ্টেম্বরে ছিল ১০.৭%। এই পরিসংখ্যান আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে।
শুধু ব্রিটেন নয়, ইউরোপে চড়া মূল্যবৃদ্ধি ভারতেও চাপ বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, এ দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও, তা রয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সহনসীমার উপরে (৬.৭৭%)। ফলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফের আগামী ঋণনীতিতে সুদ বাড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করা অর্থনীতির উপরে চাপ আরও বাড়বে।
মোদী সরকার যদিও বলছে আমেরিকার মতো দেশে মূল্যবৃদ্ধি ভারতের থেকে অনেক বেশি। এই দাবি উড়িয়ে বুধবার বিরোধী কংগ্রেসের তোপ, ভারতের চেয়ে আমেরিকায় ক্রয়ক্ষমতাও ১৫ গুণ বেশি। সেখানে করোনার সময়ে মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার জেরে চড়েছে মূল্যবৃদ্ধি। আর ভারতে আয় কমেছে। উল্টে করোনার সময়ে তেলে শুল্ক বাড়িয়ে ২৭ লক্ষ কোটি টাকা তুলেছে কেন্দ্র।
করোনার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে জেরবার হচ্ছে ইউরোপ। ওই দুই দেশ থেকে গম, তেলের মতো রোজকার ব্যবহারের পণ্য আমদানি করে তারা। রাশিয়া ইতিমধ্যে ইউরোপে গ্যাস ও অশোধিত তেলের সরবরাহ কমিয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে তেল, খাদ্য-সহ জরুরি পণ্যের। অন্যান্য খাতে খরচ কমাচ্ছেন মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপে যে ১৯টি দেশ মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহার করে, সেখানে অক্টোবরে মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে ১০.৭ শতাংশে। যা নতুন রেকর্ড। ফলে সব মিলিয়ে অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।