প্রতীকী ছবি।
দশ বছরের মধ্যে দেশের বাজারে দু’চাকার গাড়ি সব থেকে খারাপ ব্যবসা করেছে গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২)। বিদেশে রফতানির ব্যবসায় ঠিক এর উল্টো ছবি। গত বছর বিভিন্ন সংস্থা ডিলারদের কতগুলি গাড়ি বিক্রি করেছে (পাইকারি বাজার), বুধবার তার পরিসংখ্যান সামনে আসতেই স্পষ্ট এমন উলটপুরাণ।
সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালের তুলনায় গত অর্থবর্ষে দেশে সার্বিক গাড়ি বিক্রি কমেছে প্রায় ৬%। কিন্তু দু’চাকার কমেছে ১১%। বিক্রির সংখ্যা ১.৩৪ কোটি। যা ২০১১-১২ সালের প্রায় সমান। ২০১২-১৩ থেকে বেড়েছিল ব্যবসা। অথচ সেই গাড়িই এই এক দশকে সবচেয়ে বেশি (৪৪.৪৩ লক্ষ) বিদেশে গিয়েছে
গত বছর।
সিয়াম সূত্রের দাবি, গ্রামীণ বাজারের নড়বড়ে থাকাই এর জন্য দায়ী। তাই স্কুটার, মোটরবাইকের মতো গাড়ির বিক্রি বাড়ছে না। কারণ, দেশে দু’চাকার অন্যতম বাজার গ্রামাঞ্চল। যেখানকার অর্থনীতিকে ২০২০-তে করোনার প্রথম ঢেউ ততটা না পারলেও, গত বছর দ্বিতীয় ঢেউ বড়সড় ধাক্কা দেয়। তাদের এটাও ব্যাখ্যা, গত বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউনের পরে কারখানা চালু হলেও গোড়ায় শোরুম কিছু দিন বন্ধ ছিল। সেই কারণেও দু’চাকার গাড়ির বিক্রি ধাক্কা খায়। সেই সময় রফতানি বাজার ছিল চাঙ্গা, নিষেধাজ্ঞাও ছিল শিথিল। সিয়ামের প্রেসিডেন্ট কেনিচি আয়ুকায়ার দাবি, তার উপরে দেশে গাড়ির দাম যেমন বেড়েছে, তেমনই সেগুলি চালানোর খরচ বেড়েছে জ্বালানির চড়া দামে। অন্য দিকে, বিদেশে বেড়েছে ভারতীয় গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা। দেশে ব্যবসার নিরিখে এখনও বছর পাঁচেক পিছিয়ে যাত্রিবাহী গাড়ির বাজার। তিন চাকার বিক্রি প্রায় ১৯ বছর আগের জায়গায়।