প্রতীকী ছবি
গত দেড় মাসে লিটারে ডিজেলের দর বেড়েছে ১১ টাকারও বেশি। আজ, সোমবারও কলকাতায় ডিজেলের দাম ১০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৬.৭৭ টাকা। ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পণ্য পরিবহণের খরচ। এই অবস্থায় ২০-২৫% ভাড়া বাড়ানো ছাড়া গতি নেই বলে দাবি করল ট্রাক মালিকদের সংগঠনগুলি। তবে তা বাড়লে যে পণ্যের দামে আগুন লাগতে পারে, সেই আশঙ্কার কথাও মেনেছে তারা।
সংগঠনগুলির দাবি, সড়ক পথে পণ্য পরিবহণের মোট খরচের ৬৫% যায় জ্বালানিতে। টোল প্লাজাগুলিতে যায় আরও প্রায় ২০%। সেই সঙ্গে রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ ও বিমার খরচ। সেগুলিও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্তার বক্তব্য, করোনার জন্য দেশে পণ্যের চাহিদা কমায় এই মুহূর্তে প্রায় ৫৫% ট্রাক চলছে না। অনেক ক্ষেত্রে ট্রাকগুলিকে পণ্য খালাস করে খালি অবস্থায় ফিরতে হচ্ছে। ফলে জ্বালানি ও টোল বাবদ খরচ আরও বাড়ছে। খরচ বাড়ছে লকডাউনে চালক ও কর্মীর অভাবেও। ফলে ভাড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই বলে দাবি তাঁর।
এ রাজ্যে ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষের কথায়, ‘‘আমরা পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। তাতে ধুঁকতে থাকা পরিবহণ ব্যবসার উপকার হতে পারে।’’ রাজ্যে রোড ট্যাক্স মকুবেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, দেশের সর্বত্র এক দামে ডিজেল বিক্রির দাবি তুলেছে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস।