প্রতীকী ছবি।
অক্টোবরের শেষ দিকেও পরিবহণ জ্বালানির দাম ছিল গনগনে। ফলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পণ্য পরিবহণের ভাড়া বাড়লেও, মুনাফার বড় অংশকে মুছে দিয়েছে ডিজ়েলের দর। মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩২টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ রুট এবং ১১ ধরনের পণ্যের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে তারা। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, নভেম্বরের গোড়ায় কেন্দ্র পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছে। ভ্যাট কমিয়েছে বহু রাজ্য। ফলে জ্বালানি দু’টির দর রেকর্ডের শিখর থেকে খানিকটা নেমে এসেছে। এর প্রভাব পণ্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের উপরে কতটা পড়ে, এ বার সে দিকে নজর রাখতে হবে।
সমীক্ষা বলছে, গত দু’তিন বছর ধরে নানা কারণে অমসৃণ পথ ধরে এগোতে হচ্ছে পণ্য পরিবহণের ব্যবসাকে। প্রথমে বিএস-৬ সংক্রান্ত বিধির জন্য ট্রাকের দাম ১০%-১৫% বেড়েছিল। তার পরে করোনা এবং তাকে আটকাতে লকডাউনে অর্থনীতিই পড়ে যায় সঙ্কোচনের খাদে। অথচ এই সবের মধ্যে তেলের দাম বৃদ্ধি আটকায়নি। ফলে সে সময়ে প্রবল সমস্যায় পড়ে এই ক্ষেত্র।
গত দু’মাসে অবস্থা কিছুটা পাল্টেছে। জানুয়ারি-মার্চের মতো না- হলেও পণ্য পরিবহণ মসৃণতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাড়াও। ক্রিসিলের সমীক্ষা অনুযায়ী, তা সত্ত্বেও চাহিদা ও সরবরাহের জটিল হিসাবে ১৫%-২০% ক্ষেত্রে ডিজ়েলের বর্ধিত দরের প্রভাব কাটিয়ে মুনাফা হয়নি।
মূল্যায়ন সংস্থাটি আরও বলেছে, গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক থেকে পরিকাঠামো শিল্পের হাত ধরে ইস্পাত ও সিমেন্টের পরিবহণ বাড়ছে। বেড়েছে তার ভাড়াও। বেড়েছে ভোগ্যপণ্য, খাদ্যশস্যের পরিবহণ এবং গাড়ি নিয়ে যেতে ব্যবহৃত বড় ট্রাকের চাহিদা। উল্টোটা হয়েছে পোশাকের ক্ষেত্রে।