ভারতের সার্বিক মোবাইল ফোনের বাজারে আইটেলের অংশীদারি এখন ১২%। প্রতীকী ছবি।
দেশীয় মোবাইল ফোনের বাজারে জায়গা করে নেওয়ার পরে, আইটেল-সহ তিনটি ব্র্যান্ডের নির্মাতা ট্রানজ়িয়ন ইন্ডিয়া এ বার ভারতে তৈরি পণ্য নিয়ে রফতানি বাজারে পা রাখতে আগ্রহী। সেই লক্ষ্যে তারা এমন কোনও সংস্থার সঙ্গে জোট বাঁধতে চায়, যারা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক সুবিধা প্রকল্পে (পিএলআই) নাম লিখিয়েছে। ট্রানজ়িয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিকল্পনা চলছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের মধ্যে সঙ্গী বাছাই চূড়ান্ত হবে। উল্লেখ্য, ভারতে তৈরি পণ্যের রফতানি বাড়াতে পিএলআই প্রকল্প এনেছে কেন্দ্র। এর আওতায় নির্দিষ্ট মেয়াদে বাড়তি বিক্রির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রের যোগ্য সংস্থাগুলিকে।
২০১৬-এ যাত্রা শুরু করা ট্রানজ়িয়ন ভারতের মাটিতে ফিচার (সাধারণ) এবং স্মার্ট ফোন, দু’টোই তৈরি করে। সম্প্রতি নয়ডায় আইটেলের কারখানা পরিদর্শনের ফাঁকে ট্রানজ়িয়ন ইন্ডিয়ার সিইও অরিজিৎ তলাপাত্রের দাবি, এ দেশের বাজার দখলে তাদের অন্যতম হাতিয়ার হয়েছে আইটেল ব্র্যান্ড। এ বার লক্ষ্য ভারতে তৈরি ফোন বিদেশে বিক্রি করা। তিনি বলেন, ‘‘২০২২ সাল পর্যন্ত নজর দিয়েছি ভারতের ব্যবসায়। আগামী দিনে কেন্দ্রের পিএলআইয়ের মতো আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা পাওয়া সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ দেশে তৈরি মোবাইল ফোনই বিশ্ব বাজারে জোগাতে চাই।’’ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে আইটেল ব্র্যান্ডের ফোন অন্য দেশে তৈরি করে ৭০টি দেশে রফতানি করে ট্রানজ়িয়ন।
ভারতের সার্বিক মোবাইল ফোনের বাজারে আইটেলের অংশীদারি এখন (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ১২%। অরিজিতের দাবি, সে ক্ষেত্রে দেশের প্রথম তিনটি সংস্থার অন্যতম তাঁরা। আর হাজার দশেক টাকার কম দামি ফোনের বাজারে (স্মার্ট এবং ফিচার মিলিয়ে) শীর্ষে। তবে এখন আট থেকে দশ হাজার টাকা দামের স্মার্ট ফোনের বাজারে তারা নেই। এ বার সংস্থার লক্ষ্য সেই বাজারও।
পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে বিক্রি হওয়া স্মার্ট ফোনের গড় দাম প্রায় ১৭ হাজার টাকা। তাই ট্রানজ়িয়নের পরিকল্পনা, ব্যবসা বাড়াতে হাজার দশেকের মধ্যে থাকা স্মার্ট ফোনকে ৫জি প্রযুক্তির সহায়ক করে তোলা। তৈরি হবে ভারতেই। যদিও এ দেশে ফিচার ফোনের চাহিদাও আপাতত বহাল থাকবে বলেই মনে করেন অরিজিৎ। যে বাজারের ৪০% অংশীদারি নিয়ে ট্রানজ়িয়ন বর্তমানে শীর্ষে বলে দাবি তাঁর।