প্রতীকী ছবি।
ভারতে দ্রুত বাড়ছে ব্রডব্যান্ড বা ইন্টারনেটের ব্যবহার। করোনাকালে বাড়ি থেকে পড়াশোনা বা কাজের বাধ্যবাধকতা তার প্রয়োজনকে আরও তীব্র করেছে। অথচ নেটের শ্লথ গতি, অস্থায়ী সংযোগ নিয়ে নালিশ বিস্তর। এই অবস্থায় সম্প্রতি ব্রডব্যান্ড ইন্ডিয়া ফোরামের ভিডিয়ো বৈঠকে তার পরিকাঠামো বিস্তারে জোর দিয়েছিলেন টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মা। আর সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ব্রডব্যান্ড সংযোগের সম্প্রসারণ ও তার গতি বাড়ানোর রূপরেখা নিয়ে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমজনতা-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত চাইল ট্রাই। যে রূপরেখা তৈরির যে কথা ২০১৮ সালে ন্যাশনাল ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স পলিসিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর। কারও পাল্টা মত থাকলে, জানাতে হবে ৫ অক্টোবরের মধ্যে।
কোনও সুপারিশ করার আগে মতামত জানতে এমন ‘কনসাল্টেশন পেপার’ প্রকাশ করে ট্রাই। যা বর্তমানে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের নিরিখে অত্যন্ত জরুরি মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের মতে, দ্রত গতির নেট পরিষেবার চাহিদা বাড়ছে। গ্রাহক জোরদার ও স্থায়ী সংযোগও চাইছেন। কিন্তু সংযোগ বাড়লে উপযুক্ত পরিকাঠামো না-থাকলে সমস্যা হবে। শর্মা বলেন, যত আধুনিক প্রযুক্তিই হোক না কেন, তা আমজনতার কাজে না-লাগলে লাভ নেই। কর্মসংস্থান, উৎপাদনশীলতা, দক্ষতা বৃদ্ধিতেও তাকে কাজে লাগতে হবে।
ট্রাইয়ের বার্তা
• কাজ হোক বা পড়াশোনা, করোনাকালে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আরও গুরুত্ব বেড়েছে ইন্টারনেট সংযোগের।
• ভবিষ্যতে চাহিদা আরও বাড়বে।
• মোবাইলের মতো তারহীন প্রযুক্তির তুলনায় তারযুক্ত ‘ফিক্সড লাইন’ নেট পরিষেবা বেশি জোরদার। চাহিদা বিপুল ওয়াই ফাই হটস্পটের।
• তবে পরিকাঠামো না-থাকলে ভুগতে হবে। জরুরি রাজ্যগুলির নীতির সরলীকরণ।
• সব পক্ষ মত দিক তারযুক্ত ও মোবাইলে ব্রডব্যান্ডের আদর্শ গতির সংজ্ঞা, তার প্রসার, গতি বৃদ্ধি ও পরিকাঠামো গড়তে।
তবে শর্মার মতে, জোরদার ও স্থায়ী নেট পরিষেবার জন্য আরও বেশি তারযুক্ত (ফিক্সড) ব্রডব্যান্ড লাইনের পরিকঠামো প্রয়োজন। যেমন, ফাইবার টু দি হোম, বাড়ির মধ্যে পরিকাঠামো, অন্তত এক কোটি ওয়াই ফাই হটস্পট। কিন্তু বিশ্বে গড় প্রতি ১৫০ জনে একটি হটস্পট থাকলেও, ভারতে মোট হটস্পটই এক লক্ষ। বাড়িতে টেলি পরিকাঠামো গড়া, ফাইবার বা কেব্ল পাতার জন্য রাজ্যের যে নীতি মানতে হয় সংস্থাগুলিকে, তা সরল করার আর্জিও জানান তিনি।