৭০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম নিলাম নিয়ে পুরনো অবস্থানেই অনড় রইল ট্রাই।
এই স্পেকট্রাম যতটা মিলবে, তার পুরোটাই একসঙ্গে, না কি পর্যায়ক্রমে নিলাম হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই একসঙ্গে নিলামের পক্ষে মত দিলেও টেলিকম দফতর তা ফিরে দেখতে বলে তাদের। বস্তুত টেলিকম দফতর দুটি পর্যায়ে নিলামের পক্ষে ছিল। এ বারই প্রথম এই স্পেকট্রামের নিলাম হওয়া কথা।
কিন্তু সোমবার পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকার কথা জানিয়ে ট্রাইয়ের দাবি, পর্যায়ক্রমে এই স্পেকট্রাম নিলাম করলে এ ধরনের দুর্লভ প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার হবে না। এবং তাতে সরকারের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
এই স্পেকট্রামে প্রতি মেগাহার্ৎজের রেকর্ড অঙ্কের ন্যূনতম দর ১১,৪৮৫ কোটি টাকা করার সুপারিশেও অনড় ট্রাই। যা ১৮০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের দরের প্রায় ৪ গুণ। এই দর অত্যধিক চড়া বলে অভিযোগ তুলেছিল টেলিকম শিল্পের। ট্রাইয়ের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক প্রথা মাফিক, ৭০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম এলটিই বা ৪জি প্রযুক্তির জন্য লাগে। এখন এই প্রযুক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি চাহিদা ১৮০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের। তাই তার পরিপ্রেক্ষিতেই ৭০০ মেগাহার্ৎজ-এর দরের সুপারিশ করা হয়। ৮০০ বা ৯০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের ভিত্তিতে নয়।
এই যুক্তি মানতে নারাজ টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআই-এর ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ। এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ ভাবে একটি ব্যান্ডের প্রযুক্তি ব্যবহারের যোগ্য পরিবেশ তৈরি হতে সময় লাগে। যেমন ২০১১-এ নিলাম হলেও সম্প্রতি ২৩০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম ব্যবহারের অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ দেশে এখনও ৭০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের ক্ষেত্রে সেই অবস্থা নেই। উপরন্তু তার জন্য নিলামে ১৮০০ ব্যান্ডের ৪ গুণ বেশি দর সুপারিশ করা হয়েছে। এত দামি স্পেকট্রাম কিনে কেন কোনও সংস্থা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য অপেক্ষা করবে? বিশেষত ১৮০০-র স্পেকট্রাম যখন অপ্রতুল নয়?’’ তাঁর দাবি, দর কমালে হয়তো কেউ কেউ স্পেকট্রাম কিনে কিছু দিন অপেক্ষা করতে পারে।