প্রতীকী ছবি
মোবাইল পরিষেবায় তীব্র মাসুল যুদ্ধের জেরে আর্থিক সঙ্কটের অভিযোগ তুলেছিল টেলিকম শিল্পের একাংশ। শেষমেশ সব সংস্থা মাসুল বাড়ালেও, ন্যূনতম মাসুল হার বেঁধে দেওয়ার দাবি তুলেছিল দু’একটি সংস্থা। তা নিয়ে এই শিল্প মহলে দ্বিমত থাকলেও মঙ্গলবার সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দরজা খুলে দিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। পাশাপাশি মোবাইলে কল সংযোগ বাবদ ধার্য ইন্টারকানেকশন ইউসেজ চার্জ (আইইউসি) ২০২০-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক। ২০২১-এর ১ জানুয়ারি থেকে তা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন ম্যাথুজের আশা, শিল্পের আর্থিক সঙ্কট কাটাতে জোড়া সিদ্ধান্ত সাহায্য করবে।
রিলায়্যান্স জিয়ো বাজারে আসার পরে তাদের সঙ্গে মাসুল যুদ্ধে জড়িয়েছিল পুরনো সংস্থাগুলি। কিন্তু টেলিকম শিল্পের বড় অংশেরই দাবি ছিল, ভারতে মোবাইল পরিষেবার মাসুল হার বিশ্বে সর্বনিম্ন। এত দিন মাসুলের বিষয়টি বাজারের উপরে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থান বদলাল ট্রাই। তারা জানাল, ১৭ জানুয়ারির মধ্যে এ নিয়ে সব পক্ষকে মতামত দিতে হবে।
আইইউসি নিয়েও জিয়ো ও পুরনো সংস্থাগুলি তরজায় জড়িয়েছিল। একটি সংস্থার নম্বর থেকে অন্য সংস্থার ফোনে কল করা হলে, প্রথম সংস্থাটি এখন প্রতি মিনিটে দ্বিতীয়টিকে ৬ পয়সা করে মাসুল দেয়। বছর দুয়েক আগে ১৪ পয়সা থেকে তা ৬ পয়সা করে ট্রাই। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আইইউসি পুরোপুরি উঠে যাওয়ার কথা ছিল। নিয়ন্ত্রক জানাল, আরও এক বছর চালু থাকবে আইইউসি।