প্রতীকী ছবি।
উৎপাদনে কাটছাঁট ও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এ বার নামতে চলেছে জাপানি গাড়িনির্মাতা সংস্থা ‘টয়োটা মোটর’ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা ‘হুন্ডাই মোটর’ও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, যা পরিস্থিতি, তাতে উৎপাদনে ব্যাপক কাটছাঁট ও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ নেওয়া ছাড়া দু’টি সংস্থার সামনেই আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।
যত দিন যাচ্ছে, ভারতে ততই নাভিশ্বাস উঠছে গাড়ি শিল্পের। আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ থেকে শ্লথতর হয়ে পড়ায় গাড়িনির্মাতা সংস্থাগুলির কপালে ভাঁজ বাড়তে শুরু করেছে। মানুষের হাতে টাকা না থাকায়, চাকরিবাকরির নিশ্চয়তা না থাকায় গাড়ি বিক্রি হচ্ছে না। গাড়িনির্মাতা সংস্থাগুলির গুদামে অবিক্রিত গাড়ি জমতে জমতে পাহাড় হয়ে গিয়েছে। গত জুলাই পর্যন্ত ভারতে এই অবস্থা চলছে টানা ৯ মাস ধরে। তার ফলে, শুধু গাড়ি উৎপাদনেই ব্যাপক কাটছাঁট করা নয়, কর্মী সঙ্কোচনের পথেও যেতে হচ্ছে গাড়িনির্মাতা সংস্থাগুলিকে।
খবর, এই পরিস্থিতিতে টয়োটা ও হুন্ডাইয়ের মতো নামজাদা গাড়িনির্মাতা সংস্থাগুলিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের বেশ কয়েকটি কারখানায় তারা উৎপাদনে ব্যাপক কাটছাঁট করবে। সেই মর্মে ওই দু’টি সংস্থার কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের কাছে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তিও পাঠিয়েছেন। দু’টি সংস্থারই যাত্রীবাহী যানের বিক্রি জুলাইয়ে যে হারে পড়েছে, গত দু’দশকে সেই ভাবে কমেনি।
আরও পড়ুন- গাড়ি ঋণের ধাক্কায় নাভিশ্বাস ব্যাঙ্কের
আরও পড়ুন- বেড়েছে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, উঠছে প্রশ্ন
বিক্রি পড়ে যাওয়ার ফলে বহু ইউনিট সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে দেশের গাড়িনির্মাতাসংস্থাগুলি। কয়েকটি শিফ্টও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে, অস্থায়ী কর্মী সঙ্কোচনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে সংস্থাগুলি।
তবে হুন্ডাইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তারা উৎসবের মাস থেকে গাড়ি বিক্রি বাড়ার আশা করছেন। এখনও কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়নি বলে সংস্থাসূত্রের দাবি।
উত্তর ভারতে গাড়িনির্মাতা সংস্থা ‘ডেনসো কর্পস’-এর মানেসর ইউনিটের প্রচুর অস্থায়ী কর্মীকে ইতিমধ্যেই ছাঁটাই করা হয়েছে। মূলত গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থার খুঁটিনাটি তৈরি করে ডেনসো। সংস্থার তরফে এ ব্যাপারে বিশদে কিছু জানাতে অস্বীকার করা হয়েছে।
‘বেলসোনিকা’-র মতো সংস্থা, যাদের সঙ্গে অংশিদারিত্বের ব্যবসা করে ‘মারুতি সুজুকি’, খবর, তারাও তাদের মানেসর কারখানা থেকে ইতিমধ্যেই সাড়ে ৩০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। যদিও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ছাঁটাই হয়েছেন, তাঁরা সকলেই অস্থায়ী কর্মী।