ফাইল চিত্র।
সোনার গয়না কিনতে গিয়ে যাতে ক্রেতাদের ঠকতে না-হয়, সে জন্য দেশে গয়নায় হলমার্কিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার কথা উঠেছিল বেশ কয়েক বছর আগেই। সেই অনুসারে নির্দেশিকাও জারি হয়। তবে করোনার কারণে নিয়ম চালু বেশ কয়েকবার পিছোনোর পরে অবশেষে বুধবার থেকে হলমার্কিং বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র। ব্যবস্থাটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে গয়না ব্যবসায়ী-সহ সংশ্লিষ্ট মহলকে অগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে কঠোর ভাবে সারা দেশে তা কার্যকর হবে। ওই সময় পর্যন্ত বিধিভঙ্গের জন্য তাঁদের জরিমানা করা হবে না। বিধি কার্যকর করায় সমস্যা হলে তার সমাধানের উপায় ঠিক করতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বিক্রি হওয়া প্রায় ৩০% গয়নায় হলমার্কিং থাকে। ঠিক হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ২৫৬টি জেলায় চালু হবে এই নিয়ম। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের ১৯টি জেলা। হলমার্কিং কেন্দ্র যথেষ্ট সংখ্যায় আছে কি না, তা দেখেই সেগুলি বাছাই করা হয়েছে।
স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে বলেন, ‘‘বিধি কঠোর ভাবে কার্যকর করতে মাস দেড়েক সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও কোনও ব্যবসায়ী যদি কম ক্যারাটের সোনা দিয়ে বেশি ক্যারাটের দাম নেন, তা হলে ধরা পড়লে তিনি শাস্তির মুখে পড়বেন।’’ হলমার্ক কেন্দ্র জেজে গোল্ডের ডিরেক্টর হর্ষদ অজমেঢ়ার কথায়, ‘‘নতুন বিধি চালু হওয়ায় ক্রেতারা সোনার মানের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন।’’ গ্রাহকদের অভিযোগ থাকলে বিআইএস-কেয়ার অ্যাপের মাধ্যমে তা জানাতে পারবেন।
নিয়ম থেকে কিছু ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য। যেমন, ২ গ্রাম পর্যন্ত সোনার গয়নায় হলমার্ক করানো বাধ্যতামূলক নয়। যে সব গয়না ব্যবসায়ীর বিক্রি থেকে বাৎসরিক আয় ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তাঁদের নতুন বিধির আওতায় আসতে নথিবদ্ধ হতে হবে না। তেমনই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না রফতানির জন্য এবং বিদেশে প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরি গয়নার ক্ষেত্রেও।