মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মোট ১০টি ক্ষেত্রকে সামনে রেখে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের (বিজিবিএস) চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার।
আগামী ২১-২২ নভেম্বর বিজিবিএস হতে চলেছে। এ বারের সম্মেলন তিনটি জায়গায় হবে। সূচনা হবে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। শিল্প ক্ষেত্র ভিত্তিক আলোচনার বেশিরভাগই হচ্ছে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে। ধনধান্য স্টেডিয়ামে শেষ হবে সম্মেলন। এ বার অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে (এমএসএমই)। নবান্নের অন্দরের খবর, সম্মেলনে পরিকাঠামোর উপরেও বাড়তি জোর পড়তে চলেছে।
মঙ্গলবার এ নিয়ে একপ্রস্ত বৈঠক সেরেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আজ, বুধবার সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিয়ে সম্মেলনের প্রত্যেকটি কেন্দ্রের চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। ব্যবস্থাপনা নিয়ে পৃথক ভাবে বৈঠক হবে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রত্যেক দফতরের তরফে প্রস্তাব এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাগুলির সবিস্তার তথ্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রশাসনিক মহল জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে খড়্গপুর-মোড়গ্রাম, রক্সৌল–হলদিয়া এবং বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে তথা আর্থিক করিডর প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে। কেন্দ্রের সেই প্রকল্পগুলির বেশিরভাগ অংশ থাকছে এ রাজ্যে। আবার ডানকুনি-রঘুনাথপুর, ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-হলদিয়া আর্থিক করিডরের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছে। ফলে এমন সড়ক পরিকাঠামোকে কেন্দ্র করে আর্থিক তথা শিল্পের গতিবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, রেল, উড়ান, সমুদ্র এবং সড়কপথের বিন্যাস সুষম ভাবে থাকায় শহরের কাছাকাছি জমি জোগাড়ের বাধ্যবাধকতা ততটা থাকবে না।
সরকারের দাবি, চামড়া রফতানির ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে ১২% এবং ইস্পাতে ১০% অবদান রয়েছে এ রাজ্যের। ছোট সংস্থার সংখ্যা প্রায় ৯০ লক্ষ। গোটা দেশের ১৪%। পাশাপাশি, প্রায় ১০,০০০ একর জমিতে দুশোর বেশি শিল্পতালুক রয়েছে। ফলে শিল্পের জায়গা পেতে সমস্যা হবে না। পর্যটন নিয়েও আশা দেখছে সরকার।