—ফাইল চিত্র।
এ মাস থেকে ফ্ল্যাট-বাড়ির সার্কেল রেট (কোনও এলাকায় সরকারি দাম) এবং স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে বিক্রিতে তার প্রভাব নিয়ে দানা বেঁধেছে আশঙ্কা। তবে বৃহস্পতিবার আবাসন উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষা জানাল, ওই সব ছাড় সত্ত্বেও গত ছ’মাসে কলকাতায় বিক্রি কমেছে কম দামি সাধ্যের আবাসনের (অ্যাফোর্ডেবল হাউসিং)। বেড়েছে মাঝারি দামি (মিড সেগমেন্ট) এবং বিলাসবহুলগুলির। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এক সময় সাধ্যের ফ্ল্যাট-বাড়ির চাহিদা যে মধ্যবিত্ত বা সাধারণ রোজগেরে মানুষের হাত ধরে তুঙ্গে পৌঁছেছিল, কোভিড এবং চড়া মূল্যবৃদ্ধি মূলত তাঁদেরই ক্রয়ক্ষমতা কমিয়েছে। হাতে বাড়তি পুঁজি থাকছে না। তবে বিত্তবান আরও ধনী হয়েছেন। বৈষম্যের এই ছবিটাই ফের স্পষ্ট বাড়ি বিক্রির হিসাবে।
দাম ৪০-৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে তা সাধ্যের আবাসন। ১ কোটি টাকা পর্যন্ত মাঝারি দামি। ১ কোটি ছাড়ালে বিলাসবহুল। নাইট ফ্র্যাঙ্কের তথ্যে প্রকাশ, গত জানুয়ারি-জুনে কলকাতায় সাধ্যের আবাসন বিক্রি কমেছে ৪%। মাঝারি দামি এবং বিলাসবহুলগুলির বেড়েছে যথাক্রমে ৩% এবং ১%।
সংস্থার চেয়ারম্যান-এমডি শিশির বৈজলের দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে ছাড়ের কারণে মাঝারি দামি ফ্ল্যাটের বিক্রি বেড়েছে। তবে অন্যগুলির লাভ হয়নি গত ছ’মাসে। ফলে ওই ছাড় ওঠার বিরাট প্রভাবও পড়বে না।’’ আর এক কর্তা গুলাম জিয়া বলছেন, মহারাষ্ট্র-সহ আবাসনে ছাড় দেওয়া অন্য রাজ্যগুলি আগেই সুবিধা তুলেছে। বিক্রি মার খায়নি। বরং রিপোর্ট বলছে, চড়া সুদ চিন্তার। কম বা সাধারণ আয়ের যে ক্রেতারা কম দামি ফ্ল্যাট চান, তাঁরা এগোতে সাহস পাচ্ছেন না মূলত সুদের জন্য। কারণ মূল্যবৃদ্ধি তাঁদের খরচ বাড়িয়ে আয় কমিয়েছে। সেই চাপ বিত্তবানের উপরে কম বলেই মাঝারি দামি এবং বিলাসবহুলের চাহিদা বেশি।
গত জানুয়ারি-জুনে অবশ্য কলকাতায় মোট আবাসন বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫% বেড়ে হয়েছে ৯১৩০। দাম বৃদ্ধির হার গড়ে প্রায় ৬%।