—প্রতীকী চিত্র।
গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) জন্য কেন্দ্রকে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা ডিভিডেন্ড দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। যা সমস্ত প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ওই তহবিলকে রাজকোষ ঘাটতি কমানোর কাজে ব্যবহার করা হলে ভারতের ক্রেডিট রেটিং বাড়তে পারে। আর যারা রেটিং ঠিক করে সেই মূল্যায়ন সংস্থাগুলির বক্তব্য, কেন্দ্র ওই তহবিল কী ভাবে খরচ করবে তার থেকেই আর্থিক ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকারগুলি স্পষ্ট হবে। রেটিংয়ের ক্ষেত্রে সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ক্রেডিট রেটিং হল সংশ্লিষ্ট দেশের ঋণ মেটানোর ক্ষমতা। যার মূল্যায়ন যত ভাল সে তত কম সুদে ঋণ পেতে পারে। রেটিং ভাল হলে সরকার বিদেশ থেকে কম খরচে ঋণ পায়। বিনিয়োগে উৎসাহিত হয় আন্তর্জাতিক লগ্নিকারীরা।
আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংসের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা জেরেমি জুক বলেন, ‘‘রাজকোষ ঘাটতি কমানোর লাগাতার প্রচেষ্টার পাশাপাশি, সরকার যদি আয় বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ করে, তা হলে মাঝারি মেয়াদে ভারতের রেটিংয়ের উন্নতি হতে পারে। রাজকোষ ঘাটতি কমানো নাকি খরচের বহর বাড়ানো— ডিভিডেন্ডের টাকায় সরকার কোন পদক্ষেপ করে, তা দেখে সরকারের অগ্রাধিকার বোঝা যাবে। তার উপরে নির্ভর করবে মূল্যায়ন।’’ গত জানুয়ারিতে ভারতের রেটিং ‘BBB’-তে বেঁধেছিল ফিচ। জানিয়েছিল, দুর্বল অর্থ ব্যবস্থা রেটিংকে চাপের মধ্যে রেখেছে। আপাতত তা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
আর এক মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ় রেটিংস-ও জানিয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে ডিভিডেন্ডের প্রভাব নির্ভর করছে কেন্দ্রের নীতির উপরে। সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান দ্য গাজ়ম্যান বলেন, ‘‘খরচে লাগাম পরিয়ে রাজকোষ ঘাটতি কমানোর সুযোগ সরকারের রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকারকে বাজার থেকে কম ধার করতে হবে। বাজারে নগদের যথেষ্ট জোগান থাকবে। যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো সম্ভব।’’