—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারে পাম তেলের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ভারতও ওই পণ্যের আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ বিন্দু বাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ২৭.৫ শতাংশে। এই অবস্থায় অক্টোবর-ডিসেম্বরের আমদানির বরাত ছাঁটা শুরু করল ভোজ্য তেল সংস্থাগুলি, যারা অশোধিত তেল শোধন করে খোলা বাজারে বিক্রি করে। বাণিজ্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন সূত্রের ব্যাখ্যা, পাম তেলের বদলে সূর্যমুখী এবং সয়াবিন তেলের বিপণন বাড়ালে সংস্থাগুলি দাম অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। মুনাফাও হবে বেশি। সেই কারণে গত চার দিনে পাম তেলের মোট ১ লক্ষ টন আমদানি বরাত ছাঁটাই করেছে তারা।
দেশের ভোজ্য তেল ক্ষেত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারত মাসে প্রায় ৭.৫ লক্ষ টন পাম তেল আমদানি করে। সবচেয়ে বেশি আসে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং তাইল্যান্ড থেকে। এখন টন প্রতি অশোধিত পাম তেলের দাম যাচ্ছে ১০৮০ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৯০,২৩৪ টাকা (বিমা ও পরিবহণ খরচ ধরে)। অথচ এক মাস আগে তা ৯৮০-১০০০ ডলার (প্রায় ৮১,৮৭৯-৮৩,৫৫০ টাকা) ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, ভারত এতটা বরাত কমালে বিশ্ব বাজারে পণ্যটির দামে ফের কিছুটা ভারসাম্য ফিরতে পারে।
ভারতীয় আমদানিকারীদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘‘মালয়েশিয়ার তেলের দাম এবং তার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি, দু’টি ঘটনা একসঙ্গে ঘটায় আমরা হতচকিত। বরাত বাতিল করলেই এখন আমাদের লাভ।’’ এ প্রসঙ্গে সানভিন গোষ্ঠীর চিফ এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার সন্দীপ বাজোরিয়া বলছেন, ‘‘ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের চাহিদার অবস্থা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। আগামী দিনে দাম কোন জায়গায় থাকবে তা-ও কেউ জানে না। তাই জন্যেই বরাত বাতিল করছে শিল্প।’’