১১২৯ টাকায় সিলিন্ডার কিনতে অনেকেরই নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা হয়েছে। ফলে এর দাম অপরিবর্তিত থাকায় হতাশ সংশ্লিষ্ট মহল। প্রতীকী ছবি।
হোটেল-রেস্তরাঁর রান্নার বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের (১৯ কেজি) দাম আরও ১৭১.৫০ টাকা সস্তা হল। তবে স্বস্তি পেলেন না গৃহস্থেরা। একই রইল তাঁদের হেঁশেলে ব্যবহারের সিলিন্ডারের (১৪.২ কেজি) খরচ। ফলে মে মাসেও কলকাতায় মানুষকে তা কিনতে গুনতে হবে ১১২৯ টাকা।
রবিবার রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি মে মাসের জন্য বাণিজ্যিক সিলিন্ডার ১৭১.৫০ টাকা কমানোয় কলকাতায় সেটি কেনার খরচ দাঁড়াল ১৯৬০.৫০ টাকা। এপ্রিলেও তার দর ৮৯.৫০ টাকা কমানো হয়েছিল। আশা ছিল, এ বার হয়তো সুরাহা দেওয়া হবে আমজনতাকে। কারণ, ১১২৯ টাকায় সিলিন্ডার কিনতে অনেকেরই নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা হয়েছে। ফলে এর দাম অপরিবর্তিত থাকায় হতাশ সংশ্লিষ্ট মহল। তারা বলছে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে আগে জ্বালানির দাম কমানোয় জোর দিচ্ছেন। বহু দিন ধরে দেশে তেলের দামও এক জায়গায় স্থির।
এর আগে মার্চে বাড়িতে রান্নার গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বাড়ানোয় তা ১১২৯ টাকা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, খাদ্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি উদ্বেগে রেখেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলিকে। ওষুধের খরচ বেড়েছে অনেকটা। পেট্রল-ডিজ়েলের চড়া দামের কারণে যাতায়াত করতেও আগের থেকে বেশি টাকা লাগছে। এই অবস্থায় রান্নার গ্যাসের এই চড়া দামের জেরে বর্ধিত সংসার খরচ অনেকের আর্থিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। তার উপর অপরিহার্য এই জ্বালানি যখন এত চড়া, তখন সিলিন্ডারে সরকারি ভর্তুকিও এখন কোথাও একেবারেই মেলে না, কোথাও তা নামমাত্র। কলকাতার বড় অংশে ভর্তুকি মাত্র ১৯ টাকা।