প্রতীকী ছবি
লকডাউনের শর্ত শিথিল হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে কাজকর্ম চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু বহু মানুষের অভিযোগ, এখনও বহু ডাকঘর বন্ধ। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। সমস্যার কথা মানলেও ডাক বিভাগের দাবি, প্রায় ৮৫% ডাকঘর এখন চালু রয়েছে। গণপরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু না-হওয়ায় এবং অনেক জায়গা এখনও কন্টেনমেন্ট জ়োনের আওতায় থাকায় কর্মীদের অনেকেই কাজে আসতে পারছেন না।
লকডাউনের আগে ডাক বিভাগ জানিয়েছিল, কোনও ডাকঘর বন্ধ থাকলে আশেপাশের অন্তত একটি ডাকঘর চালু থাকবে। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, কোনটি বন্ধ আর কোনটি খোলা, তার তথ্য স্পষ্ট নয়। সরেজমিনে খোঁজ নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেক প্রবীণ গ্রাহক। পাশাপাশি সিবিএস ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেও বন্ধ ডাকঘরের গ্রাহক অন্য ডাকঘরে গিয়ে সব সময় পরিষেবা পাচ্ছেন না। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কিছু সমস্যার কথা মানলেও ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের ভারপ্রাপ্ত সিপিএমজি নীরজ কুমারের বক্তব্য, গণপরিবহণের অভাবে সব কর্মী আসতে পারছেন না। বিপুল সংখ্যক কর্মীর জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করাও ডাক বিভাগের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে এক ডাকঘরের কর্মীদের একাংশকে নিয়ে অন্য ডাকঘর খোলা হচ্ছে। ফলে অনেক জায়গায় কর্মী অপ্রতুল। আশা করছি ৮ তারিখে লকডাউন উঠলে কন্টেনমেন্ট এলাকা ছাড়া সমস্যা অনেকটা মিটবে।’’ তাঁর দাবি, রাজ্যে ন’হাজারেও বেশি ডাকঘরের মধ্যে বুধবার ৭৮৬৫টি খোলা ছিল। ২৫ মার্চ থেকে ওই দিন পর্যন্ত শুধু সিবিএস ব্যবস্থায় এ রাজ্যের ডাকঘরে ১৪,৩৪১.৯৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়াও আধার ব্যবস্থায় লেনদেন হয়েছে ২৬.৮৬ কোটি টাকা। তবে আমপানের জন্য ১২৪টি জায়গায় লিঙ্ক বসে গিয়েছিল। তার মধ্যে ৭৪টি ফের চালু হয়েছে। ফলে ইন্টারনেটের অভাবে ডাকঘর পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে।