Alcohol

চাহিদা কমলেও আগ্রহ বাড়ছে মদে বিনিয়োগের

অর্থ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, তৈরির খরচ বাড়তে থাকায় প্রায় প্রতি বছর মদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় উৎপাদক সংস্থাগুলি। নতুন ব্র্যান্ড নথিবদ্ধ করে বাজারে আনতে আগ্রহী সংস্থা জমা দেয় ইচ্ছাপত্র।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ০৭:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যে মদ তৈরি এবং আমদানিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সংস্থার সংখ্যা বেড়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা প্রশাসনিক সূত্রের। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রাজ্যে মদ খাওয়ার ঝোঁক কিছুটা কমার পরেও লগ্নির আগ্রহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ আবাগারি নীতির সংস্কার।

Advertisement

অর্থ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, তৈরির খরচ বাড়তে থাকায় প্রায় প্রতি বছর মদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় উৎপাদক সংস্থাগুলি। নতুন ব্র্যান্ড নথিবদ্ধ করে বাজারে আনতে আগ্রহী সংস্থা জমা দেয় ইচ্ছাপত্র। চলতি বছরের সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে সম্প্রতি। সেখানেই জানা গিয়েছে, মদ- বিয়ার তৈরি ও আমদানি করতে চেয়ে গত বারের তুলনায় বেশি আবেদন জমা পড়েছে রাজ্যের কাছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, বিদেশি মদে (বিদেশ থেকে আনা বোতলবন্দি মদ এবং বিদেশ থেকে মদ এনে তা বোতলে ভরা) গত বছর ৪৯টি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল। এ বার তা ৫৮। বিয়ারে লগ্নিতে ইচ্ছুক সংস্থা ৬টি বেড়ে হয়েছে ১৮। দেশি মদে ৩৮টি। এক কর্তার কথায়, “দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ছাড়া যে ব্র্যান্ডের মদ উৎপাদন বা আমদানির লক্ষ্য রয়েছে, আগ্রহপত্র মারফত সেটা জানায় সংস্থাগুলি। সায় মিললে তা আবগারি দফতরের অধীনে নথিবদ্ধ হয়। পরে বাজারে আনতে বাধা থাকে না।”

প্রশাসনিক সূত্র বলছে, সরকারের আবগারি শুল্কের (মদে উৎপাদন শুল্ক) ১৮টি ধাপ। উৎপাদকের দাম অনুযায়ী কোনও এক ধাপের শুল্ক কার্যকর করা হয়। সেই শুল্কও বাড়ানোয় সায় দিয়েছে অর্থ দফতর। তাতে দেশে তৈরি ও বোতলবন্দি বিদেশি মদের দাম বাড়তে পারে ৫-১০০ টাকা। তুলনায় কম দামের বিদেশি মদ বেশি দামি হবে। বিয়ার বাড়তে পারে ২০-৩০ টাকা। ফলে এই অর্থবর্ষে মদ থেকে রাজ্যের রাজস্ব আয় আগের বারের থেকে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা (১০%) বাড়বে বলে আশা। গত অর্থবর্ষে বেড়েছিল ১৭০০ কোটি (১০%)।

Advertisement

এক সরকারি কর্তা অবশ্য বলছেন, ‘‘এর মানে এই নয় যে, রাজ্যে মানুষ বেশি মদ খাচ্ছেন। বরং বিয়ারের চাহিদা বাড়লেও বিদেশি ও দেশী মদ বিক্রি কমেছে। আসলে পুরো নেট ব্যবস্থা ও পদ্ধতিগত বহুমুখী সংস্কারের কারণেই রাজস্ব আদায় হচ্ছে বেশি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement