—প্রতীকী ছবি।
কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে শ্রম মন্ত্রক। যার অন্যতম অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই কিছু ক্ষেত্রে পিএফ সদস্যদের তহবিলে জমা টাকার একাংশ আগাম তোলার সময় কমানো হয়েছে। শুক্রবার পিএফকর্তৃপক্ষের দাবি, সে জন্য ওই সব ক্ষেত্রে টাকা তোলার আবেদন খতিয়ে দেখার কাজ সহজ করতে চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। সদস্যেরা আবেদন করলেই তার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ চলে ওই ব্যবস্থায়। ফলে তা মঞ্জুরির সময় কমেছে। সেই সঙ্গে অনেকাংশে কমানো গিয়েছে পিএফ সদস্যদের হয়রানিও।
দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার ধরনের ক্ষেত্রে পিএফের টাকা আগাম তোলার আবেদন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মঞ্জুর করা হচ্ছে। সেগুলি হল— চিকিৎসা, শিক্ষা, সন্তানের বিবাহ এবং গৃহ নির্মাণ। এই ধরনের প্রয়োজনগুলি মেটাতে খুব তাড়াতাড়ি টাকা জোগাড় করতে হয়। তাই সদস্যদের পিএফের তহবিল তোলার তাড়া থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এই ধরনের ২৫ লক্ষ আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। বেশির ভাগটাই সম্পন্ন হয়েছে তিন দিনের মধ্যে। চিকিৎসা খরচের জন্য টাকা তোলার মোট আবেদনের ৫০ শতাংশই হচ্ছে নতুন পদ্ধতিতে।
কাজের সময় কমাতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে পিএফ তহবিল স্থানান্তরও। সদস্য এক চাকরি ছেড়ে অন্য সংস্থায় যোগ দিলে তাঁর পিএফের টাকা স্থানান্তরিত করতে এখন আর আলাদা করে আবেদন করতে হবে না। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই তা হয়ে যাবে। পিএফ দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ তহবিলের ক্ষেত্রে তা হয়েছে।
এ ছাড়া, এখন থেকে পিএফ সংক্রান্ত আর্জির সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা পাসবুক আপলোড করতে হবে না। কেওয়াইসি-র সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সদস্যের পিএফের ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের (ইউএএন) সঙ্গে যুক্ত থাকলে হবে। সেখান থেকে আর্জি প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে খতিয়ে দেখার কাজ সারা হবে। এখন থেকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য নতুন যে সব সফটওয়্যার তৈরি করা হবে, সেগুলিকে ইউএএন-এর সঙ্গে যুক্ত করবে পিএফ দফতর। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় পরিষেবা চালুই এর উদ্দেশ্য। আবেদন নামঞ্জুর হলে তার কারণ সদস্যকে দ্রুত ও সহজবোধ্য ভাবে জানানো হবে।