—প্রতীকী ছবি।
চড়া মূল্যবৃদ্ধির জমানায় বড় অংশের মানুষ তাকিয়ে ছিলেন কেন্দ্রের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির দিকে। বিশেষত তৃতীয় দফায় ক্ষমতার আসার পরে আমজনতাকে মোদী সরকারের তরফে কোনও সুরাহা দেওয়া হয় কি না, নজর ছিল তাতে। কিন্তু শুক্রবার সকলকে হতাশ করে অর্থ মন্ত্রক জানাল, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও (জুলাই-সেপ্টেম্বর) স্থির থাকছে সুদের হার। ফলে পিপিএফ, এনএসসি, কিসান বিকাশের মতো প্রকল্পে তা রয়ে যাচ্ছে যথাক্রমে ৭.১%, ৭.৭% এবং ৭.৫%। অপরিবর্তিত বাকিগুলিও। এর আগে ভোটের মধ্যে এপ্রিল-জুনেও সুদের হার স্থির রেখেছিল কেন্দ্র।
দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সহনসীমার (৬%) নিচে থাকলেও, খাদ্যপণ্যের চড়া দামে নাজেহাল মানুষ। সাধারণ প্রয়োজনের আনাজপাতি-আমিষ থেকে শুরু করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের ব্যবহার্য অত্যাবশ্যক পণ্যে হাত ছোঁয়ানো দায়। চিন্তা বাড়িয়ে পাইকারি বাজারেও খাবারের দাম চড়ছে ৮ শতাংশের বেশি হারে। যার প্রভাব আগামী দিনে খুচরো বাজারে পড়বে বলে ধারণা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই অবস্থায় স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ স্থির থাকা মানুষকে স্বস্তি দেবে না। মূলত ওই সব প্রকল্পে বহু অবসরপ্রাপ্ত মানুষ টাকা রাখেন। স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কিছুটা বাড়ানো হলে মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজারে খাবার, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অগ্নিমূল্যের সমস্যা যোঝায়, বিশেষ করে ওই সব প্রবীণ নাগরিকদের কিছুটা সুরাহা হত। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তাঁরা হতাশ হবেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির ফলে পাঁচ বছরের রেকারিং ডিপোজ়িটে সুদ থাকছে ৬.৭%। ডাকঘরের সেভিংস ডিপোজ়িটের সুদ যথারীতি ৪%, এক বছরের মেয়াদি আমানতে ৬.৯%। দুই বছরের মেয়াদি আমানতের সুদ রয়েছে আগের মতোই ৭%। তিন বছরে তা ৭.১%। পাঁচ বছরের ক্ষেত্রে তা ৭.৫%। সিনিয়র সিটিজ়েন্স সেভিংস স্কিম এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় সুদ ৮.২%। সুদ স্থির মাসিক আয় প্রকল্প (৭.৪%), এনএসসি (৭.৭%), কিসান বিকাশ পত্রেও (৭.৫%)। দীর্ঘ দিন ধরে ব্রাত্য সাধারণের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় করসাশ্রয়ী প্রকল্প পিপিএফ। তার সুদও আটকে ৭.১ শতাংশে।