প্রথমে হিসাব পরীক্ষক নিজের কাজের মান বিচার করে মূল্যায়ন করবেন। তা খতিয়ে দেখে পুনর্মূল্যায়ন করবে অন্য অডিট সংস্থা। প্রতীকী ছবি।
সংস্থার হিসাবের খাতা পরীক্ষার (অডিট) মান বাড়াতে হিসাব পরীক্ষকদের (অডিটর) নিজেকে নিজে মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা চালু করছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই)। এতে প্রথমে হিসাব পরীক্ষক নিজের কাজের মান বিচার করে মূল্যায়ন করবেন। তা খতিয়ে দেখে পুনর্মূল্যায়ন করবে অন্য অডিট সংস্থা। ‘অডিট কোয়ালিটি ম্যাচিয়োরিটি মডেল’ ব্যবস্থাটি এপ্রিলে কার্যকর হবে, জানান আইসিএআইয়ের নতুন সভাপতি অনিকেত সুনীল তালাতি। অতীতে দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতারণায় অনেক সময়েই আঙুল উঠেছে হিসাব পরীক্ষকদের দিকে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ।
নতুন ব্যবস্থায় ১৪০টি প্রশ্নের উত্তর দেবেন হিসাব পরীক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা। যেমন, এই কাজ করার পরিকাঠামো কেমন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে কি না, নথি তৈরির প্রক্রিয়ার মান ইত্যাদি। পরে সেটির পুর্নমূল্যায়ন করে অন্য হিসাব পরীক্ষক সংস্থা উত্তরের ভিত্তিতে নম্বর দেবে। এই প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট মান অর্জন করতে হবে ওই অডিটর এবং অডিট সংস্থাকে। অনিকেতবাবু জানান, নির্দিষ্ট মান ছুঁতে না পারলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে আইসিএআই। শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত বড় সংস্থার হিসাব পরীক্ষকদের ক্ষেত্রেই প্রথমে ব্যবস্থাটি কার্যকর হবে।
যে সব সংস্থা সামাজকল্যাণের কাজে শেয়ার-ঋণপত্র ছেড়ে অর্থ তোলে, তাদের শেয়ার লেনদেনে সোশ্যাল এক্সচেঞ্জ আনছে বিএসই, এনএসই। সমাজকল্যাণেই সেই অর্থ খরচ হচ্ছে কি না বা হিসাব (সোশ্যাল অডিট) ঠিক হচ্ছে কি না, তা দেখবেন সামাজিক হিসাব পরীক্ষকেরা। এর প্রশিক্ষণ দিতে সেবি পাঠ্যক্রম এনেছে, জানান আইসিএআইয়ের নয়া সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার আগরওয়াল। বিদায়ী সভাপতি দেবাশিস মিত্র জানান, এই অডিটের ১৬টি মাপকাঠি। সেটা করতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।