প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন পানীয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুগন্ধি চায়ের (ফ্লেভার্ড টি) জনপ্রিয়তা দেশে-বিদেশে বাড়ছে। কিন্তু সেই পণ্যের মধ্যে মূল চায়ের ভাগ কতটা থাকা উচিত, তা নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। অনেক ক্ষেত্রে চায়ের তুলনায় সুগন্ধির ভাগ বেশি হওয়ায় চায়ের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় থাকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারও কারও মতে, সেটিকে তখন আর চা বলা যায় কি না সন্দেহ। এমন চায়ের ক্ষেত্রে এ বার সুগন্ধি মেশানোর ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দিল টি বোর্ড। সুগন্ধির পরিমাণ তার চেয়ে বেশি হলে সেটিকে আর ফ্লেভার্ড টি-র তকমা দিতে রাজি নয় তারা। প্রস্তাব নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত চাওয়া হয়েছে। তার পরেই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ফ্লেভার্ড টি বানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বোর্ডের থেকে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিতে হয়। এফএসএসএআইয়ের মাপকাঠি অনুযায়ী চায়ে মেশানো যায় মানব শরীরের পক্ষে সহনশীল প্রাকৃতিক সুগন্ধি। কিন্তু তার ঊর্ধ্বসীমার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা নেই। বোর্ডের বক্তব্য, চায়ের মূল বৈশিষ্ট্য-গন্ধ যাতে বজায় থাকে সে জন্য সুগন্ধি চায়ে বেশিরভাগটাই চা রাখার জন্য সংস্থাগুলিকে বলা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে চায়ের ভাগ ৫১ শতাংশেরও কম থাকে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন-সহ চা শিল্পের বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব দিয়েছিল তারা। বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে থেকে ৫% সুগন্ধি মেশানোর ঊর্ধ্বসীমাকে বেছে নিয়েছে বোর্ড।
বোর্ডের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। তাঁদের মতে, এটি চূড়ান্ত হলে পণ্য হিসেবে চায়ের মূল বিশেষত্ব বজায় থাকবে।