—প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবোন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগোল ভারত। উন্নতি করল লিঙ্গ বৈষম্য, আয় বৃদ্ধি, আয়ু-সহ প্রায় সব মাপকাঠিতে। যদিও শ্রমের বাজারে পুরুষ এবং মহিলাদের অংশগ্রহণের ফারাক এখনও বিপুল। যা ভাবাচ্ছে সমস্ত মহলকে। সূচকে সবচেয়ে উপরে রয়েছে সুইৎজ়ারল্যান্ড। পাশাপাশি, অতিমারির পরে বহু দেশ ঘুরে দাঁড়ালেও দরিদ্র দেশগুলি পড়ে রয়েছে একই তিমিরে।
বৃহস্পতিবার ‘২০২৩-২৪ মানবোন্নয়ন রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৩৪তম স্থানে রয়েছে ভারত। ২০২১ সালে ছিল ১৩৫ নম্বরে। সেই বছর মানবোন্নয়ন মূল্য (০.৬৩৩) কমার পরে ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ০.৬৩৩। লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর ইঙ্গিত যে সূচক, তা ০.৪৩৭ থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে হয়েছে ০.৪৯০। ১২২ থেকে ১৪ ধাপ এগিয়ে পৌঁছেছে ১০৮তম স্থানে। কিন্তু একই সঙ্গে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শ্রমের বাজারে পুরুষ (৭৬.১%) এবং মহিলাদের (২৮.৩%) অংশগ্রহণের পার্থক্যের (৪৭.৮%) ক্ষেত্রে এখনও উদ্বেগজনক জায়গায় ভারত। উন্নতি সত্ত্বেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লিঙ্গ বৈষম্য সূচক দাঁড়িয়ে রয়েছে মূলত তিনটি মাপকাঠির উপরে— প্রজনন স্বাস্থ্য, ক্ষমতায়ন এবং শ্রমের বাজার। এই তিনের মিলিত সূচকে কিন্তু সারা বিশ্ব (০.৪৬২) এবং দক্ষিণ এশিয়ার (০.৪৭৮) তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ভারত (০.৪৯০)। ১৫-১৯ বছর বয়সি মহিলার মধ্যে সন্তানের জন্ম দেওয়ার হারও কমেছে। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের বক্তব্য, গত এক দশকে সরকারের নীতিগত পদক্ষেপের ফলেই এই উন্নতি।
রাষ্ট্রপুঞ্জ বলছে, এই রিপোর্ট যে সময়ে তৈরি করা শুরু হয়েছিল (১৯৯০) তখন থেকেই ভারতের উন্নতি লক্ষণীয়। সেই পথে হেঁটে ২০২২ সালে উন্নতি ঘটেছে আয়ু (৬৭.২ বছর থেকে ৬৭.৭ বছর), স্কুলে যাওয়া, মাথাপিছু বার্ষিক আয়ের (৬৫৪২ ডলার থেকে ৬৯৫১ ডলার) ক্ষেত্রে।