আগামী ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ৭% ছুঁতে পারে বলে ইঙ্গিত দিল বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে আসন্ন বাজেটে কৃষি ক্ষেত্র সংস্কার ও শিল্পে কর্মসংস্থানের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার জেরেই এটা সম্ভব হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ৬.৩% ছুঁয়েছে।
নতুন বছরে অর্থনীতি কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে অ্যাসোচ্যামের সমীক্ষা ‘ইয়ার অ্যাহেড আউটলুক’-এ আরও জানানো হয়েছে, নতুন বছরের দ্বিতীয় ভাগে মূল্যবৃদ্ধি ৪-৫.৫ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখা সম্ভব হবে। তবে তারা ধরে নিয়েছে, বর্ষা ভাল হবে, শিল্পে লগ্নি বাড়বে, ঋণের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হবে ও বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকবে।
ভোটের ঠিক আগের বছরে কৃষির দিকেই বাজেটের পাল্লা ভারী হবে বলে সমীক্ষায় জানিয়েছে অ্যাসোচ্যাম। পাশাপাশি, শিল্পে সেই সব ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে, যেগুলিতে কর্মসংস্থান বা়ড়ার সুযোগ বেশি। বণিকসভার মতে, গ্রামীণ অর্থনীতিতে সংস্কারের অভাব খুব স্পষ্ট, যার জেরে তা পিছিয়ে পড়ছে। অ্যাসোচ্যাম বলেছে, ‘‘শুধু বৃদ্ধি টেনে তোলাই যথেষ্ট নয়। কাজের সুযোগ বাড়া চাই। ২০১৮-র সরকারি নীতি সেই দিকেই ঝুঁকবে বলে আশা।’’
আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের অর্থনীতির হাল ফেরায় রফতানিও বাড়বে বলে বণিকসভা আশাবাদী। পরিষেবা রফতানিও বাড়বে বলে তাদের ধারণা। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি সহ্যের সীমার মধ্যেই থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।