পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেন। ফাইল চিত্র।
ঋণ এবং আমানতের মেয়াদে বিশাল ফারাক দেশের ব্যাঙ্ক শিল্পকে বড় ঝুঁকির মুখে দাঁড় করিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেন। স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের দাবি, এতে সম্পদের থেকে আর্থিক দায় বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কটে পড়তে পারে তারা। ধাক্কা খেতে পারে ঋণদান। যদিও তাঁর সঙ্গে একমত নন অনেক ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞই। তাঁদের দাবি, এই আশঙ্কা অমূলক। অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা অতীতে ব্যাঙ্কগুলিকে কাহিল করলেও এখন হাল ভাল। তাদের দায় ও সম্পদের অনুপাত সামঞ্জস্যহীন নয়। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণকে ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ তকমা দিয়ে তারও বিরোধিতা করেছেন প্রণববাবু।
সম্প্রতি বন্ধন ব্যাঙ্কের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রণববাবু বলেন, “ব্যাঙ্কগুলি যে ঋণ দেয়, তা শোধের গড় সময় ৯ বছর। কিন্তু আমানতের গড় মেয়াদ ২.৫ বছর। দায় এবং সম্পদের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। এটা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। সমস্যায় পড়তে পারে তারা।’’ তাঁর দাবি, বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রায়ত্ত বলেই এখনও বড় সমস্যা মাথা তোলেনি।
ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, ‘‘স্থায়ী আমানত ছাড়াও দেশীয় ব্যাঙ্কগুলিতে কারেন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকা জমা থাকে। অথচ তাতে সুদের খরচ কম। তাই দায় আর সম্পদ থেকে আয়ের মধ্যে ফারাক উদ্বেগজনক হওয়ার কারণ নেই।’’ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক প্রাক্তন সিএমডি-রও দাবি, “জমার নিরিখে ঋণদানের গড় হার এখন ৭৪%। অর্থাৎ, ১০০ টাকা এলে ঋণ তার ৭৪%। তাই ঋণদানে তহবিলের অভাব হওয়ার আশঙ্কা অমূলক।’’