—প্রতীকী চিত্র।
তথ্য সুরক্ষা আইন থেকে সরকারি সংস্থাকে ছাড় দিলে তার অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ডিজিটাল দুনিয়ায় আমজনতার ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা বজায় রাখতে মোদী সরকার নয়া ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল আনতে চলেছে। কিন্তু সেই আইন থেকে গোয়েন্দা, নিরাপত্তা ও তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্র নিজের হাতে রাখছে। দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সরকার যে কোনও সরকারি সংস্থাকে আমজনতার ব্যক্তিগত তথ্য কাজে লাগানো বা তাতে নজরদারি করার ক্ষমতা দিতে পারে।
আজ ওই কমিটি তার রিপোর্টে বলেছে, ‘‘এই ছাড়ের সুবিধার অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে।’’ আইনে এই ছাড় যাতে রোজকার নিয়ম না হয়ে দাঁড়ায় এবং একমাত্র বিরল পরিস্থিতিতেই যাতে এই ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়, তা দেখার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরির সুপারিশও করেছে কমিটি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলে ছাড় দিলেও, তা এখনও সংসদে পেশ করা হয়নি। বিলের খসড়া আগে প্রকাশ পেয়েছিল। তার ভিত্তিতেই কমিটির রিপোর্টে ওই আইনের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে গত সপ্তাহে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি থেকে বিরোধী সাংসদেরা ‘ওয়াক-আউট’ করেছিলেন। আজ রাজ্যসভায় কমিটির ‘নাগরিকদের তথ্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক রিপোর্ট পেশ হয়। যার বিরোধিতা করেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস। তাঁর অভিযোগ, যে বিল সংসদে পেশ হয়নি তার পক্ষে কমিটির রিপোর্টে সওয়াল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর একে মিথ্যে অভিযোগ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন।
ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল পাশ হলে তথ্যের অধিকার আইনে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একটা অংশ। এই অধিকার রক্ষার কাজে যুক্ত কর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজের অভিযোগ, সরকার এখানে তথ্যের অধিকার আইন থেকেই ছাড় পেতে চাইছে।