—প্রতীকী চিত্র।
অন্যান্য কৃষিপণ্যের মতো চা চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার দস্তুর। সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের কীটনাশক কতটা ব্যবহারযোগ্য, তা নির্দিষ্ট করে দেয় এ ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)। কিন্তু অনেক সময়ে ব্যতিক্রমের অভিযোগ ওঠায় এফএসএসএআই এবং টি বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের বিভিন্ন বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি অসমে একই ধরনের বৈঠকে চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে জৈব কীটনাশক ব্যবহারের জন্য শিল্পমহলকে বার্তা দিয়েছেন এফএসএসএআইয়ের সিইও ডি কমলা বর্ধন রাও।
নিয়ন্ত্রক সূত্রের খবর, বেআইনি কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চা শিল্পের একাংশ রাজ্য সরকারের কাছে সেগুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি জানায়। বাগান থেকে চা বাইরে যাওয়ার সময়েই র্যাপিড টেস্টিং কিটের বন্দোবস্ত করে নিয়মিত পরীক্ষা চালানোর দাবি ওঠে। বিভিন্ন কীটনাশকের বিষয়ে সবিস্তার ব্যাখ্যা দেন গবেষকেরা। এই প্রেক্ষিতে অসমের কীটনাশক পরীক্ষাগারের উন্নতির জন্য আর্থিক সাহায্য করছে এফএসএসএআই। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের সঙ্গে নিয়ন্ত্রকটির একই রকম বৈঠক করার কথা।
জৈব কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শকে স্বাগত জানালেও চা শিল্পমহলের একাংশের মত, দ্রুত সব ক্ষেত্রে তা চালু করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে সেই পথে এগোনো যেতে পারে। এর আগে একটি বৈঠকে চায়ে কিছু নিষিদ্ধ রাসায়নিক ও কীটনাশকের উপস্থিতির কথা তুলে ধরে এফএসএসএআই। সতর্ক করা হয় বাগানগুলিকে।