—প্রতীকী ছবি।
ঋণপত্র মারফত পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে জাতীয় লগ্নি ও পরিকাঠামো তহবিলে (এনআইআইএফ) ৬০০০ কোটি টাকা শেয়ার মূলধন জোগানোর কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।
বুধবার এই সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, দু’বছরে তহবিলের ঋণপত্রের অংশে (ডেট প্ল্যাটফর্ম) ৬০০০ কোটি টাকা ঢালবে কেন্দ্র। তা করা হবে অসীম ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিনান্স এবং এনআইআইএফ-আইএফএলের মাধ্যমে। বন্ডের মাধ্যমে টাকা তোলার পরিবেশ ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ২০০০ কোটি টাকা দেওয়া হতে পারে এই বছরই। এর উপরে ৭০০০ কোটি টাকা শেয়ার মূলধন দেবে এনআইআইএফ। আর সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার থেকে সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে, এই শুরুর ৬০০০ কোটি লগ্নির সুবাদে ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত ১.১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল তৈরি সম্ভব হবে বলে ধারণা কেন্দ্রের।
করোনায় মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পরিকাঠামোয় বিপুল বিনিয়োগ যে জরুরি, তা বার বার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেছেন, তার জন্য প্রয়োজন ১০০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি। এ দিন জাভড়েকর বলেন, তার মধ্যে ৭০-৮০ লক্ষ কোটিই আসার সম্ভাবনা ঋণপত্র (বন্ড) এবং ঋণপত্র ভিত্তিক ফান্ড (ডেট ফান্ড) থেকে। এ দিন কেন্দ্রের তরফে যে শেয়ার মূলধন ঢালার কথা বলা হয়েছে, তা-ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষিত ‘আত্মনির্ভর প্যাকেজের’ অংশ।
কিন্তু সমস্যা হল, এই বেহাল বিশ্ব অর্থনীতির বাস্তবে দাঁড়িয়ে বন্ডের মাধ্যমে ১ লক্ষ কোটি টাকা তুলতেই ২০২৫ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্র। তা হলে ১০০ লক্ষ কোটির লক্ষ্য ছুঁতে তহবিলের সংখ্যা এবং তাতে লগ্নির অঙ্ক কত হবে? সময়ই বা লাগবে কত দিন? জাভড়েকরের যদিও দাবি, ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের বিপুল সম্ভাবনা মাথায় রেখে এখানে টাকা ঢালতে আগ্রহী প্রায় সব দেশের সংস্থাই।