প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
গত চার অর্থবর্ষের পুনরাবৃত্তি ঘটল। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেও বিলগ্নিকরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা (৫১,০০০ কোটি টাকা) ছুঁতে পারল না কেন্দ্র। এই বছরে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অংশীদারি বিক্রি করে মোদী সরকারের কোষাগারে এসেছে মাত্র ১৬,৫০৭.২৯ কোটি টাকা।
গত বছর বিলগ্নিকরণ থেকে মূলধনী খাতে ২০,০০০ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উদ্বৃত্ত সম্পদ বেচে ১০,০০০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নিয়েছিল কেন্দ্র। অথচ হিসাব বলছে, সরাসরি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে (অফার ফর সেল) কেন্দ্র বেচেছে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অংশীদারি। কোল ইন্ডিয়া থেকে এসেছে ৪১৮৬ কোটি টাকা। এনএইচপিসি এবং এনসিএল থেকে যথাক্রমে ২৪৮৮ কোটি এবং ২১২৯ কোটি। আইআরইডিএ-র প্রথম শেয়ার ছেড়ে (আইপিও) কেন্দ্র তুলেছে ৮৫৮ কোটি। আরভিএনএল, এসজেভিএন, ইরকন ইন্টারন্যাশনাল, হাডকো-র শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। তা বিক্রি হয়েছে সুটি-র মাধ্যমেও।
২০১৪ সালে প্রথম দফায় কেন্দ্রের মসনদে আসার পর থেকেই বিলগ্নি ও বেসরকারিকরণে জোর দিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু তথ্য বলছে, মাত্র দু’বার নিজেদের স্থির করা লক্ষ্য ছুঁতে পেরেছে তারা। ২০২০ সালে একাধিক ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থা বিলগ্নির পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়ার নিলাম সফল হয়েছে। তবে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়নি।