প্রতীকী ছবি।
৪জি স্পেকট্রাম, বেতন ও পেনশন সংশোধন-সহ একগুচ্ছ দাবিতে আজ, সোমবার থেকে টানা তিন দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলকম সংস্থা বিএসএনএলের কর্মী এবং অফিসারদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন্স অব বিএসএনএল (এইউএবি)। বেশিরভাগ কর্মী-অফিসারই এই ধর্মঘটের পক্ষে থাকায় গ্রাহক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিল জমা, সংযোগ নেওয়া বা লাইন খারাপ হলে তা মেরামতি বিঘ্নিত হতে পারে।
জরুরি পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য বিভিন্ন রাজ্যে শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে। তবে ধর্মঘটী সংগঠনগুলির দাবি, জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হবে না।
এর আগে গত বছরের শেষ দিকে দু’বার ধর্মঘট ডেকেও তা স্থগিত রেখেছিল এইউএবি। রাজ্যে এইউএবির আহ্বায়ক অনিমেষ মিত্রের অভিযোগ, টেলিকম মন্ত্রী মনোজ সিন্হা, টেলিকম সচিব অরুণা সুন্দররাজন-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তাঁদের দাবিগুলি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় ধর্মঘট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও সে সবের কিছুই হয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, টেলিকম দফতরের সহযোগিতার অভাবে ব্যাঙ্ক থেকে বিএসএনএল ঋণ পাচ্ছে না। সংস্থা পরিচালনার পাশাপাশি ধাক্কা খাচ্ছে পরিষেবাও।
এইউএবির আরও দাবি, বিএসএনএল যে সব বাড়ি, জমি, কেবল, টাওয়ার ব্যবহার করে, সে সবের মালিকানা তাদের হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ছিল কেন্দ্র। কিন্তু এখনও তা হয়নি। ওই মালিকানা পেলে সংস্থার সম্পদ বাড়ত। সহজ হত ঋণ পাওয়া।