চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে ক্রেতা ‘আহ্’ বলার আমেজ কতটা পাবেন, তা অনেকটা নির্ধারণের ভার এ বার যন্ত্রের হাতে বা মুঠোফোনের অ্যাপে। সৌজন্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম মেধা)।
বাজারে যে চা কেনা হচ্ছে তাতে কতটা ভাল কাঁচা চা পাতা থাকছে, ওই প্রযুক্তির ভিত্তিতে যন্ত্রই তা সহজে ও দ্রুত বাগানগুলিকে বুঝতে সাহায্য করবে। পাতার মান যত ভাল হবে, ততই উঠবে দাম। ঠেকানো যাবে ভাল বলে নিম্ন মানের চায়ের জোগানও।
চা শিল্প সূত্রের খবর, সাধারণত দু’টি পাতা ও একটি কুঁড়ির সমষ্টিকে ভাল পাতাগুচ্ছ (ফাইন লিভস) হিসেবে ধরা হয়। ভাল চা তৈরি করতে ১০০ গ্রাম কাঁচা চা পাতায় গড়ে ৫০-৬০% সে রকম পাতা থাকতে হয়। অন্য পাতার ভাগ বেশি হলে, চায়ের মান তুলনায় খারাপ হয়। এখন হাতে-কলমে পরীক্ষা চলে। তা আরও সূক্ষ্ম ভাবে করতে সাহায্য করবে প্রযুক্তি।
উন্নত চা গাছের ক্লোন তৈরি, আবহাওয়া অনুযায়ী চাষের পদ্ধতি সংক্রান্ত গবেষণায় যুক্ত এই শিল্পের তৈরি সংস্থা টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (টিআরএ)। আইআইটি-খড়্গপুরের ছত্রছায়ায় তৈরি স্টার্ট-আপের সঙ্গে ভাল কাঁচা পাতার মান যাচাইয়ে জোট বেঁধেছে তারা। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে।
বুধবার টি বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায় বলেন, এতে চা বাগান ও ক্রেতা, উভয়ই উপকৃত হবেন। টিআরএ-র সেক্রেটারি জয়দীপ ফুকনের দাবি, বিশ্বে প্রথম চায়ের মান যাচাইয়ে কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই যন্ত্র বা অ্যাপে থাকছে ভাল চায়ের তথ্য ভাণ্ডার। যন্ত্রে ঢালা কাঁচা পাতা বা অ্যাপে তোলা পাতার ছবির সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখে ভাল পাতার অনুপাত যাচাই হবে।
ক্ষুদ্র চা চাষিদের অভিযোগ, এখন পরীক্ষা ততটা নিখুঁত না হওয়ায় ভাল পাতার ভাগ নিয়ে অনেক সময়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ঠিকমতো দাম পান না। নতুন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানান তাঁদের সংগঠন সিস্টার প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী।