বিরূপ আবহাওয়ার পাশাপাশি চা বাগানে কীটপতঙ্গের হানা ও গাছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে ধাক্কা খাচ্ছে দেশের চা শিল্প। প্রতীকী ছবি।
বিরূপ আবহাওয়ার পাশাপাশি চা বাগানে কীটপতঙ্গের হানা ও গাছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে ধাক্কা খাচ্ছে দেশের চা শিল্প। টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টিআরএ) হিসাব, এর ফলে চা পাতার উৎপাদন কমায় বছরে ক্ষতির পরিমাণ ২৮০০ কোটি টাকা পার করেছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় নতুন কয়েকটি কীটনাশক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিসচিব মনোজ আহুজাকে চিঠি দিয়েছেন টিআরএ-র চেয়ারপার্সন নয়নতারা পালচৌধুরী। টিআরএ-র সেক্রেটারি জয়দীপ ফুকন জানান, কেন্দ্র সম্প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ করে দু’টি কীটনাশক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তাঁদের আর্জি মেনে অন্যগুলিকেও ছাড়পত্র দিলে এই মরসুমে চা শিল্পের উপকার হবে।
প্রসঙ্গত, চড়া তাপমাত্রায় চা পাতার কুঁড়ির বৃদ্ধি, উৎপাদন এবং গুণমানও ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআরএ। চিঠিতে সংগঠনের চেয়ারপার্সনের বক্তব্য, একই সঙ্গে এই আবহাওয়া কীটপতঙ্গ ও রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়াতে সাহায্য করেছে। আগে তা ছিল না এমন নয়। তবে তখন ডুয়ার্স ও অসমের দক্ষিণ অংশ থাকলেও পরে দ্রুত তা অসমের কাছাড়, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, দার্জিলিং ও তরাই অঞ্চলে। এ জন্য উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারত মিলিয়ে বছরে চা পাতার উৎপাদন ১৪.৭ কোটি কেজি কমায় প্রায় ২৮৬৫ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। অথচ গত দু’দশকে বাগানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে অনেকটাই।টিআরএ-র বক্তব্য, কেন্দ্রীয় কীটনাশক পর্ষদ এবং টি বোর্ডের নির্দেশ মেনে সাতটি কীটনাশক ব্যবহার করে চা শিল্প। তবে তাতে সব সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাই এ বার আরও কিছু কীটনাশক দু’বছর ব্যবহারের জন্য সম্মতি চেয়েছে সংগঠনটি।