বাগান মালিকদের দাবি, চা উৎপাদনের খরচ যে হারে বেড়েছে, দাম তত উঠছে না। তাই এ বার বরাক উপত্যকায় চা বাগানে পর্যটন ব্যবসার চালুর অনুমতি চাইছেন তাঁরা। কিন্তু সরকারি নীতি অনুসারে ওই সব বাগান চা উৎপাদন ছাড়া আর কিছুতে ব্যবহার করা যায় না। সম্প্রতি টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টিএআই) বরাক ভ্যালি শাখার বার্ষিক সাধারণ সভায় সেই নীতিই বদলের পক্ষে সওয়াল করেছেন বাগান মালিকেরা।
টিএআই-এর চেয়ারম্যান এস কে তাপাড়িয়ার দাবি, ‘‘উৎপাদন খরচের তুলনায় চায়ের দাম বেড়েছে খুবই কম। দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য না এলে এই অঞ্চলে চা শিল্পের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে।’’ বাগানের জমি সরকার লিজে দেয়। মালিকদের দাবি, নীতি বদলে সেগুলিকে ‘ফ্রি-হোল্ড’ পাট্টা বলে ঘোষণা হোক। তা হলে ওই জমিতে পর্যটন পরিকাঠামো গড়া যাবে। অন্য ফসলও ফলানো যেতে পারে।
বিদ্যুতের মতো পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে সরকারি উদাসীনতারও অভিযোগ তুলেছেন তাপাড়িয়া। তিনি বলেন, ‘‘বাগানগুলির জন্য ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুতের লাইন বসানোর কথা ছিল। তা হয়নি। ফলে প্রায়ই মেশিনে চা-পাতা থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎ চলে যায়। তাতে চায়ের গুণমান নষ্ট হয়। কখনও আবার কয়লা মেলে না।’’ শিলচরে কয়লা ডিপো চালুর অনুরোধ জানান অ্যাসোসিয়েশনের বরাক ভ্যালি শাখার সচিব শরদিন্দু ভট্টাচার্য।