চা বাগান।
শীতের মরসুমে পাতার মান ভাল না হওয়ায় চা তৈরি বন্ধ রাখাই দস্তুর। কথা নয় পাতা তোলারও। কিন্তু অভিযোগ, তা মানে না কিছু বাগান। সেগুলির নিজস্ব কারখানা ও বটলিফ কারখানাগুলির একাংশও সেই খারাপ পাতা দিয়ে নিম্নমানের চা তৈরি চালু রাখে। বাজারে এমন চায়ের বিক্রি আটকাতেই বাধ্যতামূলক ভাবে পাতা তোলা ও চা তৈরি বন্ধের নির্দেশ দিল টি বোর্ড। জানাল, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে ১৪ ডিসেম্বরের পর আর পাতা তোলা যাবে না। কারখানায় চা তৈরির শেষ দিনও ঘোষণা করেছে তারা। গত বছর ডিসেম্বরে প্রথম বার বাধ্যতামূলক ভাবে প্রায় দু’মাস বাগান বন্ধের নির্দেশ জারি করেছিল বোর্ড।
এই সিদ্ধান্তে সার্বিক ভাবে আপত্তি না থাকলেও, পাতা তোলার সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন ইউএফএসটিএডব্লিউবি-র প্রেসিডেন্ট পার্থপ্রতিম পাল ও সিস্টার প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। দাবি করেছেন, এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় পাতার দাম ভাল মেলেনি। নানা কারণে বাগানগুলি আর্থিক সঙ্কটেও পড়েছে। বোর্ডের কাছে তাঁদের আর্জি, সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতেই পাতা তোলার শেষ দিন পিছিয়ে ২৪ ডিসেম্বর করা হোক। ওই সংগঠনের আশা, সম্প্রতি ভাল বৃষ্টি হওয়ায় এ বার ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত পাতার মান ভাল থাকবে।
টি বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায় অবশ্য বলছেন, ‘‘কোথায় কখন পাতার মান কেমন হবে, তার ভিত্তিতে টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন-সহ অন্য গবেষণা কেন্দ্রের পরামর্শ মেনেই সিদ্ধান্ত।’’
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরও জানিয়েছে, এ বার শীত আগে আসবে। যে সময় পাতার মান ভাল হয় না। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দরকার মতো সিদ্ধান্ত হবে।’’
বড় বাগানগুলির সংগঠন ইন্ডিয়া টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা বুধবার জানান, তাঁরা সদস্য বাগানগুলিকে বোর্ডের নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।