প্রতীকী ছবি।
জিএসটির হার বদল এবং কাঁচামালের খরচ বাবদ আগে মেটানো করের টাকা ফেরতের (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি) সুবিধা ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিল রেস্তরাঁ শিল্প। সেই প্রস্তাব খোলা মনে বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিলেন রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজ।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর সময়ে সাধারণ রেস্তরাঁয় ১২% এবং বাতানুকূল রেস্তরাঁয় ১৮% কর বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। দু’টি ক্ষেত্রেই মিলত আইটিসির সুবিধা। কিন্তু কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ আসে, বহু রেস্তরাঁ আইটিসির সুবিধা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে না। এর পরেই কর কাঠামোয় বদল আনা হয়। সব ক্ষেত্রেই চালু হয় ৫% জিএসটি। সম্প্রতি বণিকসভা সিআইআইয়ের এক কর্মসূচিতে রাজস্ব সচিব জানান, শুধুমাত্র ৫% হারের পরিবর্তে আইটিসির সুবিধা-সহ বেশি হারের কর কাঠামো ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব পেয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই প্রস্তাব খোলা মনে বিবেচনা করতে পারি।’’ তবে তিনি জানান, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি পরিষদ।
ফেডারেশন অব হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (এফএইচআরএআই) অবশ্য দাবি, আইটিসি সুবিধা যুক্ত এবং তা বর্জিত— দু’রকম করের হারই থাকুক। সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রদীপ শেট্টি ফোনে জানান, এই প্রস্তাব তাঁরা বাজেটের আগেই দিয়েছিলেন। ভাড়া, কাঁচামাল রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য মূলধনী লগ্নি-সহ মোট খরচ বিভিন্ন রেস্তরাঁর ক্ষেত্রেই অনেক বেশি। আইটিসির সুবিধা না পাওয়ার ফলে ব্যবসা চালাতে সমস্যা হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে করোনাকালে খরচ যখন বেড়েছে। সে কারণে তাঁদের প্রস্তাব, আইটিসির সুবিধা ছাড়া ৫% করের হার থাকুক। সেই সঙ্গে চালু হোক আইটিসির সুবিধাযুক্ত বেশি হারের কর কাঠামো। রেস্তরাঁগুলিই ঠিক করবে তারা কোন হারে কর দেবে।
বাড়তি করের ফলে ক্রেতাদের খরচের বোঝা বাড়বে না? শেট্টির দাবি, বাজারের নিয়মেই খাবারের দাম নির্ধারণ হয়। আইটিসির সুবিধা পেলে সংশ্লিষ্ট রেস্তরাঁ খাবারের মূল দাম সে ভাবেই স্থির করবে। কোনও ক্ষেত্রেই ক্রেতার উপরে চাপ পড়বে না।