কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। ফাইল চিত্র।
করোনা-সঙ্কট এবং তাকে ঘিরে আর্থিক অনিশ্চয়তা না-কাটা পর্যন্ত বাড়ি, ফ্ল্যাটের চাহিদা বৃদ্ধি কার্যত অসম্ভব বলে মেনে নিলেন মোদী সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। সেই সঙ্গে এই প্রবল অনিশ্চয়তার সময়ে হাতের টাকা খরচ না-করার প্রবণতাই এখনও পর্যন্ত দরিদ্রের হাতে কেন্দ্রের নগদ না-দেওয়ার কারণ বলে ফের দাবি করলেন তিনি।
মঙ্গলবার বণিকসভা এমসিসিআই আয়োজিত ভিডিয়ো কনফারেন্সে সুব্রহ্মণ্যনের কাছে আর্জি ছিল, আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে তাদের কিছু করছাড়ের সুবিধা দিক কেন্দ্র। বিশেষত যেখানে ভারতের অর্থনীতিতে এই শিল্পের অবদান অনেকখানি। তার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বহু জনের রুজি-রুটিও। কিন্তু সেই গুরুত্ব মেনেও উপদেষ্টার উত্তর, ‘‘অর্থনীতির এই অনিশ্চিত সময়ে নিজের সঞ্চয় ভেঙে মোটা অঙ্ক ডাউনপেমেন্ট করতে চাইবেন খুব কম মানুষই। তাই শুধু করছাড়ের দাওয়াইয়ে আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করা শক্ত।’’
সুব্রহ্মণ্যন মেনে নিয়েছেন, এই সঙ্কট অর্থনীতির নয়, স্বাস্থ্যের। তাই প্রতিষেধক না-বেরনো কিংবা মানুষ করোনাভাইরাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত অনিশ্চয়তা থাকবেই। আর সেই সূত্রেই ফের দাবি করেছেন, এমন নয় যে, ঘাটতি মাত্রাছাড়া হওয়ার আশঙ্কাতেই এই কঠিন সময়ে দরিদ্রদের হাতে টাকা দেয়নি সরকার। এর মূল কারণ, এখন টাকা দিলেও তা খরচ করতে চাইবেন না তাঁরা। অনিশ্চয়তার কারণে চাইবেন যতটা সম্ভব তুলে রাখতে। তাই অনিশ্চয়তা কাটার পরে চাহিদা চাঙ্গা করার চেষ্টায় সরকার কোমর বেঁধে নামতে পারে বলে তাঁর ইঙ্গিত।
একই সঙ্গে উপদেষ্টার দাবি, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের প্যাকেজে কেন্দ্রের ভাঁড়ার থেকে টাকা খরচ খুবই কম করার অভিযোগও ভিত্তিহীন। তাঁর কথায়, ‘‘অন্যান্য দেশের প্যাকেজও কিন্তু সরকারি ব্যয় ও ঋণের সুবিধার মিশেল। ব্রিটেনের প্যাকেজ তাদের জিডিপির ১৫%। কিন্তু সরকারি ব্যয় ৩.৫% মতো।’’ ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প শুধু প্রথম তিন সপ্তাহেই ৫০,০০০ কোটি টাকা ধারের সুবিধা নিয়েছে বলেও দাবি করেছেন সুব্রহ্মণ্যন।