প্রতীকী ছবি।
তলানিতে ইস্পাতের চাহিদা। মাথাব্যথা বাড়িয়েছে বাজারে বাড়তি সরবরাহ ও উৎপাদনের চড়া খরচ। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ব্যবসায় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে ভারতের টাটা স্টিল। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে ইউরোপে টাটা স্টিলের সিইও হেনরিক অ্যাডম জানিয়েছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে সেখানকার কোনও সংস্থা গোটানো হবে না।
টাটা স্টিলের ইউরোপীয় ব্যবসায় কাজ করেন প্রায় ২০ হাজার কর্মী। তাঁদের কত জনকে ছাঁটাই করে খরচ বাঁচাতে চাইছে সংস্থা, সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি।
কয়েক মাস আগেই ইস্পাতের ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা সামাল দিতে লগ্নি কাটছাঁট করার কথা জানিয়েছিল টাটা স্টিল। যে তালিকায় ভারতের পাশাপাশি আছে ইউরোপও। তবে সে বার ইউরোপে তাদের বেশ কিছু শাখায় তালা ঝোলাবার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল। এ বার অ্যাডামের দাবি, ‘‘একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সংস্থা। নগদ আয় বাড়িয়ে ইউরোপের ব্যবসা মজবুত করার পরিকল্পনা তৈরি করছি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বদল আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।’’ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এই সব বদলের মধ্যে আছে জোগান কমানো, উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ও কর্মী কমিয়ে খরচ বাঁচানো। নেদারল্যান্ড এবং ওয়েলসে ইস্পাত তৈরির কারখানা ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে টাটা স্টিলের অনুসারি শিল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: অংশীদারি বিক্রিতে সায়, তালিকায় বিসিপিএল
ইস্পাতের চাহিদা তলানিতে বহু দিন থেকেই। অথচ উপচে পড়ছে জোগান। ফলে দর নামছে পণ্যের। ইউরোপীয় ইস্পাত সংস্থাগুলির অভিযোগ, এর জন্য দায়ী মূলত চিনা সংস্থাগুলির মাত্রারিক্ত সরবরাহ। টাটাদের বক্তব্য, সারা বিশ্বের বাড়তি উৎপাদনই ঢুকে পড়ে ইউরোপের বাজারে। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে ওই বাজার। তার উপরে রয়েছে প্রতিযোগিতার চাপ ও বিদ্যুতের চড়া খরচ। ভারতীয় ইস্পাত উৎপাদকটির দাবি, বাড়তি জোগান ঠেকাতে নিজেদের উৎপাদনও কমাচ্ছে সংস্থা।